এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার কি আরেক বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলে আসার পালা? তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

এবার কি আরেক বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলে আসার পালা? তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায়ের তৃণমূলে চলে আসার পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল বিজেপি শিবিরের ভাঙ্গন নিয়ে। ক্রমশ সেই গুঞ্জন বাস্তবায়িত হতে দেখা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপি থেকে বহু বিধায়ক এবং সাংসদ তৃণমূলে আসতে পারেন বলে। আর এই তালিকায় সবার আগে নাম উঠেছে বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের। প্রসঙ্গত বিশ্বজিৎ দাস সংবাদ শিরোনাম এসেছিলেন, বিধানসভার শেষ অধিবেশনের দিন মুখ্যমন্ত্রী চরণ স্পর্শ করে। সে সময় থেকেই ব্যাপক জল্পনা শুরু হয় তাঁকে নিয়ে। বিশ্বজিৎ দাস নিজেও কিছুটা বেসুরো হয়ে পড়েন সেসময়। যদিও তারপর তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়ে খুশি করা হয় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিজেপির টিকিটে তিনি বিধায়ক পদ লাভ করেছেন ঠিকই, কিন্তু তাতে পরিস্থিতির বিশেষ কিছু হেরফের হয়নি। বনগাঁয় দিলীপ ঘোষের বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রথম প্রশ্ন ওঠে। সে সময় অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন, যে ব্যক্তির বাড়িতে বৈঠক ডাকা হয়েছিল তিনি বিভিন্ন অসাধু কাজকর্মে জড়িত বলে তাঁর বাড়িতে বিধায়ক যাননি। কিন্তু পরবর্তীতে হেস্টিংসের অফিসে বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক কিংবা বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক- কোথাও দেখা যায়নি বাগদার বিধায়ককে। অন্যদিকে আজকে ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ডের প্রতিবাদে কলকাতা পুরসভা অভিযান ছিল গেরুয়া শিবিরের। সেখানে দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়কদের অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সেখানেও খোঁজ পাওয়া যায়নি বিশ্বজিৎ দাসের। এমনকি বিধানসভার হাউজেও তাঁ দেখা মেলেনি। অবশেষে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের সঙ্গে রীতিমতন বৈঠকি কায়দায় আড্ডা দিতে। আর এখান থেকেই রাজনৈতিক মহল বলতে শুরু করেছে, বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূলে যাওয়া হয়তো সময়ের অপেক্ষা। প্রসঙ্গত মুকুল রায়ের চলে যাবার পর থেকেই বিশ্বজিৎ দাস বিজেপিতে থেকেও যেন নেই। কিছুদিন আগেই তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মুকুল রায়ের পারিবারিক সম্পর্কের কথা। একইসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যে তাঁর সম্পর্ক ভালো সে কথাও বলেন।

তবে পারিবারিক সম্পর্কের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ককে তিনি মেলাতে রাজি হননি। তবে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে কি চিন্তা ভাবনা সেকথাও স্পষ্ট করেননি। খুব স্বাভাবিকভাবেই মুকুল রায়ের পর আরেক বিধায়কের দল ছাড়ার আশঙ্কা তীব্র হতেই গেরুয়া শিবিরের কপালে ভাঁজ। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা আগেই অনুমান করেছিলেন, মুকুল রায় চলে যাবার সাথে সাথে তাঁর অনুগামী অনেকেই তৃণমূলের দিকে মুখ ঘোরাবেন। কার্যত  বিশেষজ্ঞদের সেই অনুমানই সত্যি হতে চলেছে বলেই দাবী করা হচ্ছে। আপাতত গেরুয়া শিবির বিধায়ক আটকাতে এবার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!