এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার কি এই হেভিওয়েট বিজেপিতে, চেয়ারের রং গেরুয়া হতেই বাড়ছে জল্পনা!

এবার কি এই হেভিওয়েট বিজেপিতে, চেয়ারের রং গেরুয়া হতেই বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় আছে, এই রং দিয়ে যায় চেনা। বর্তমান রাজনীতিতে এই “রঙ” শব্দটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পোশাক-আশাকের রং থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে একটু বেরঙ দেখলেই তা নিয়ে শুরু হয়ে যাচ্ছে চর্চা। প্রতিনিয়ত এদল থেকে ও দলে যাওয়া নেতাদের হিড়িক পড়ে গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে কার্যত আতঙ্ক বাড়ছে শাসকদলের অন্দরমহলে। এমতাবস্থায় বর্ধমান জেলা পরিষদের খসড়া বাজেট পেশের বৈঠকে চেয়ারে থাকা তোয়ালের রং গেরুয়া হয়ে যাওয়ায় রীতিমত জল্পনা তৈরি হল।

সূত্রের খবর, এদিন দেখা যায়, কর্মাধ্যক্ষদের চেয়ারে নীল-সাদা তোয়ালের বদলে সেখানে গেরুয়া রং রয়েছে। আর তারপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি জেলা পরিষদের রঙে এবার বদল ঘটছে! তোয়ালের গেরুয়া রং কি এবার তাদের সকলকে গেরুয়া শিবিরের দিকে নিয়ে যেতে শুরু করল! তবে তোয়ালের রং দিয়ে রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি বিচার করার চেষ্টা হলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। তার দাবি, এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। তবে কর্মাধ্যক্ষ থেকে শুরু করে সভাধিপতি যে কথাই বলুক না কেন, গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু করে গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন গেরুয়া রঙের তোয়ালে দেওয়া হল! এদিন এই প্রসঙ্গে কৃষি ও সেচ কর্মদক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, “যত সব বাজে কথা। রঙিন ও সাদা দুই সেট তোয়ালে রয়েছে। কেউ কেউ সেটাকে নিয়ে এমন নোংরামি করতে শুরু করেছে।” একইভাবে এই ব্যাপারে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, “আগে সব তোয়ালেই সাদা রাখা হয়েছিল। ময়লা হলে বদল করে সাদা দেওয়া হত। কিন্তু সেই কাজে যুক্তরা অনেক সময় বদল না করেই বদলে গিয়েছিলেন বলে সেই কারণে রঙিন তোয়ালে রাখার কথা বলা হয়। গেরুয়া বাদে অন্য যে কোনো রং দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু যেগুলো দেওয়া হয়েছে, তা হলুদ। কারও কারও সেটাই গেরুয়া মনে হচ্ছে। অপপ্রচার ছাড়া আর কি বলা যায়!”

অর্থ্যাৎ তোয়ালের রং গেরুয়া হওয়া নিয়ে বর্তমান রাজনীতিতে দলবদলের জল্পনা চললেও, তাকে মানতে নারাজ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ থেকে শুরু করে সভাধিপতি। তবে তারা যে কথাই বলুন না কেন, তাদের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তোয়ালের রঙ বদলের সাথে সাথে তাদের রাজনৈতিক অবস্থানেরও পরিবর্তন ঘটে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!