এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > এবার কি জার্সি পরিবর্তনের পথে তিন হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক? দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিতিতে জল্পনা!

এবার কি জার্সি পরিবর্তনের পথে তিন হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক? দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিতিতে জল্পনা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপি রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গা দখল করলেও, অনেক নেতা-নেত্রী বেসুরো শুরু হতে শুরু করেছেন। ক্ষমতা দখল করা তাদের টার্গেট ছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্য থেকে যেভাবে বিজেপি পিছিয়ে গিয়েছে, তাতে অনেকেই হতাশ। আর সেই কারণেই অনেক হেভিওয়েট নেতা বিধায়ক হিসেবে জয়লাভ করলেও, তাদের গতিবিধি নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। ইতিমধ্যেই অনেকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

বিধায়কদের মধ্যে মুকুল রায় ফিরে গিয়েছেন তার পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে। আর তারপর থেকেই জল্পনা বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করলেও অনেক বিধায়ক দল পরিবর্তন করতে পারেন। আর তার মাঝেই জল্পনা বাড়িয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠক করতে আসলেও সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল তিন বিজেপি বিধায়ককে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, শনিবার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির অফিসে একটি বৈঠক করতে আসেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। আশা করা হয়েছিল, সেখানে দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনীয়া এবং গাইঘাটা সুব্রত ঠাকুরকে। আর তারপরেই জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বৈঠক করতে আসলেও, কেন সেখানে তিন বিধায়ক অনুপস্থিত! তাহলে কি তারা দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন? ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিজেপির বিধায়করা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে অংশগ্রহণ না করার কারণে বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, “গতানুগতিক কথাই বলতে হয়। ভারতীয় জনতা পার্টির বনগায় যা দুরাবস্থা, তাতে পার্টিতে কেউ থাকতে চাইছে না। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা আগে বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন। তারা এখন খাজা গজাদের পাঠাচ্ছেন।” যদিও বা তিন বিধায়কের এই বৈঠকে অনুপস্থিত নিয়ে অন্য যুক্তি দিতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।

এদিন তিনি বলেন, “অনেকের ব্যক্তিগত কাজ বা পূর্বপরিকল্পিত কর্মসূচি থাকতে পারে। যারা এসেছেন, তাদেরকে নিয়েই মিটিং হবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছেন এবং ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই যে তিনি এই কথা বলছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ঘাসফুল শিবির। স্বাভাবিকভাবেই হেভিওয়েট তিন বিজেপি বিধায়ক কেন দলের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত, এখন সেটাই আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!