এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার কি সাংসদ পদ হারাতে চলেছেন রাহুল গান্ধী? তীব্র হচ্ছে জল্পনা

এবার কি সাংসদ পদ হারাতে চলেছেন রাহুল গান্ধী? তীব্র হচ্ছে জল্পনা


‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ কথাটি নির্বাচনী প্রচার হোক কিংবা টুইটার, এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী প্রচারে রীতিমত ঝড় তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আর সেই মন্তব্যের জেরেই বিপাকে পড়েছেন তিনি। এই বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে বিজেপি নেত্রী মিনাক্ষি লেখি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টে। রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে আদালত অবমাননা দেখিয়ে মামলা করেন মীনাক্ষী। আর এই মামলার ফলেই এবার রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। জল্পনায় উঠে আসছে এবার রাহুল গান্ধীর নাম। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কি এবার রাহুল গান্ধী তার সংসদ পদ হারাতে চলেছেন, এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

অযোধ্যা মামলার পর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা হচ্ছে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মামলাটি। এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় সামনের সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট দেবে। যদিও ইতিমধ্যে রাহুল গান্ধী এই ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে।

আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে সেই ব্যক্তি পরবর্তীকালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না অথবা তিনি যদি নির্বাচিত প্রতিনিধি হন তাহলে তার নির্বাচন বাতিল হয়ে যাবে এবং এখান থেকেই গুঞ্জন শুরু। রাহুল গান্ধী যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে ওয়ানাড থেকে তাঁর নির্বাচন বাতিল হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

1951 সাল থেকে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের 8(3) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুবছরের জন্য কারাদণ্ড ভোগ করেন, তাহলে তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিততে অযোগ্য বলে মনে করা হয়। যদি সেই ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পান, তাহলেও তিনি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যে মামলাটি করা হয়েছে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তা হলো আদালত অবমাননার মামলা। এই মামলায় সেকশন টুয়েলভে অভিযুক্তের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এবং শাস্তি স্বরূপ ছমাসের হাজতবাস কিম্বা 62 হাজার টাকা জরিমানা। আইন অনুযায়ী 6 মাস কিংবা 180 দিন হাজতবাস করলেই নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করা যায় না। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আইনে আবার বলা আছে দু বছর বা তার বেশি সময় হাজতবাস করলে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করা যায় না।

নরেন্দ্র মোদিকছ এহেন বক্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধীকে আদালত অবমাননার জন্য ফৌজদারি মামলায় জড়িয়ে পড়তে হয়েছে। ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্যটি রাহুল করেছিলেন 10 এপ্রিল, অন্যদিকে রাফায়েল নিয়ে 14 ই ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল।

রাফায়েল নথি প্রকাশ্যে আসার পর দেশের সর্বোচ্চ আদালতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেই সময়ে রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, আদালত মেনে নিয়েছে ‘চৌকিদার চোর হ‍্যায় আর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। যদিও রাহুল গান্ধী বলেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নির্বাচনী সভা করার সময় তিনি ভোটের উত্তেজনায় এধরনের মন্তব্য করে ফেলেছিলেন।

এই ঘটনার কংগ্রেসের অন্দরে চূড়ান্ত বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাহুল গান্ধী বারংবার ক্ষমা প্রার্থনা করলেও সেই কথায় কর্ণপাত না করে আর এক সপ্তাহ পরে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এই মামলার রায়দান করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আপাতত এই রায়ের ফলে রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক জীবন কোন দিকে মোড় নেয় সে দিকে নজর রাখছে তামাম রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!