এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার কি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বিজেপি? একাধিক বিধায়কের তৃণমূলে যোগদানের তীব্র জল্পনা

এবার কি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বিজেপি? একাধিক বিধায়কের তৃণমূলে যোগদানের তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে বিজেপিতে। দলের একাধিক নেতাকর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করতে শুরু করেছেন। সপুত্র মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফিরে আসার পরই বিজেপির ভাঙ্গনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তাঁর একাধিক অনুগামী সহ তৃণমূলে যোগদান করেছেন। আর, এবার আলিপুরদুয়ারের চারজন বিধায়কের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। আর জেলার এই পাঁচজন বিজেপি বিধায়কের মধ্যে চারজনই তৃণমূলে যোগদান করবেন, এমন একটা জল্পনা শোনা যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে বারবার এই ধরনের পোস্ট পাওয়া যাচ্ছে। এই চার জন বিধায়ক হলেন কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাও, কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা, আলিপুরদুয়ার সদরের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ। তবে, এ বিষয় নিয়ে তাঁরা এখনো পর্যন্ত কোনো বক্তব্য রাখেন নি। তবে, রাজনীতি মহলে কান পাতলে আরো অনেক খবর সামনে আসছে।

সম্প্রতি, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জণ বার্লা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার দাবি করেছেন। এই চারজন বিধায়কের যেখানে চরম অসম্মতি রয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এর ফলে উত্তরবঙ্গ জুড়ে অশান্তি সৃষ্টি হবার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তার প্রবল বিরোধিতাতে নেমেছেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, এদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ করিয়েছেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। অন্যদিকে মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগগাকে নিয়েও জল্পনা চলছে। তিনিও তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন, এমন একটা সম্ভাবনার কথা ছড়িয়ে পড়েছে রাজনীতি মহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দুবারের বিধায়ক হবার কারণে বিরোধী দলনেতার দাবিদার ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে সে পদ দেখা হয়নি বলে আদিবাসী সম্প্রদায় ক্ষুব্দ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তবে, তৃণমূলে যোগদানের কথাকে অস্বীকার করেছেন। তবে, তিনি ও জেলার চার জন বিধায়ক যদি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। তবে আলিপুরদুয়ারে বড়সড় ভাঙ্গন ঘটবে গেরুয়া শিবিরে। বিধায়ক শুন্য হয়ে পড়বে বিজেপি। পক্ষান্তরে লাভ হবে ঘাসফুল শিবিরে।

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে গঠনের দাবি করেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি করেছেন। উত্তরবঙ্গের কিছু বিধায়ক জন বার্লাকে সমর্থন জানালেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ বিষয়ে জানিয়েছেন যে, অখন্ড পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে রয়েছে বিজেপি। পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি মেনে নেয়া হবে না। আর এই বঙ্গভঙ্গের দাবিতেই দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এই দাবি মেনে নেননি। যা থেকে আশঙ্কা রয়েছে ভাঙ্গনের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!