এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > এবার কি দলবদলের ভাবনা প্রয়াত সোমেন মিত্রের পুত্রের? প্রকাশ্য বক্তব্যে জল্পনা ক্রমশ চরমে!

এবার কি দলবদলের ভাবনা প্রয়াত সোমেন মিত্রের পুত্রের? প্রকাশ্য বক্তব্যে জল্পনা ক্রমশ চরমে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবারো ভাঙ্গনের আশঙ্কায় প্রদেশ কংগ্রেসে। সম্প্রতি প্রয়াত কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র কয়েকদিন ধরেই বারবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে চলেছেন তাঁর বিভিন্ন টুইটে। আজ শুক্রবার সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানালেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল আছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পুত্রের এই বক্তব্য জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছে রাজ্য কংগ্রেসের অন্দরে।

প্রসঙ্গত, রাজনীতির ক্ষেত্রে সোমেন মিত্র ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিকবার ওঠা-পড়া ছিল। একসময় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস তৈরি করেছিলেন সোমেন মিত্র। পরে সদলবলে তিনি এসেছিলেন তৃণমূলে। তৃণমূল প্রার্থী হয়ে ২০০৯ সালে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী শিক্ষা মিত্র দুবার বিধায়ক হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে। কিন্তু, গত ২০১৪ সালে সাংসদ পদ ছাড়েন সোমেন মিত্র। এরপর শিখা মিত্রও বিধায়ক পদ ছাড়েন। আবার গত ১০১৮ সালে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করা হয় সোমেন মিত্রকে। সেসময় থেকে আমৃত্যু তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। এ অবস্থায় তাঁর পুত্র যদি তৃণমূলে যোগ দেয়, তবে কংগ্রেসের কাছে তা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়াতে কংগ্রেস বিধায়ক কাজি আবদুর রহিম বা দিলু কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃনমূলে। তবে অনেকে বলছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে তৃণমূলের যাওয়ার চেষ্টাতে ছিলেন তিনি। জনৈক কংগ্রেস নেতা জানালেন যে, লোকসভা ভোটে বসিরহাট থেকে প্রার্থী হয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে তিনি যোগসাজস করে ছিলেন। তাঁর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলকে এগিয়ে রাখেন তিনি।

তবে, কাজি আবদুর রহিম বা দিলু সম্পর্কে রোহন মিত্র টুইট করে জানান যে, একাধিকবার অসম্মান করে তাঁকে বিধায়কের পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে কোন সমঝোতা তিনি করেননি। বরং তারকা প্রচার ছাড়াই ১ লাখেরও বেশী ভোট পেয়েছিলেন তিনি। তবে, কিছু কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছেন যে, নিজের এলাকায় তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই তারকা প্রচার করেননি তিনি। চাইলে তিনি আরও ভালো ফল করতে পারতেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে সম্প্রতি বেচারাম মান্না দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বেচারাম মান্নার ছবি দিয়ে টুইট করে রোহন মিত্র লিখেছেন, ” যাঁদের একদিন কোনও রাজনৈতিক পরিচয়ই ছিল না, আস্তাকুঁড় থেকে তাঁদের তুলে এনে কখনও প্রয়াত সোমেন মিত্র বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা একদিন সিংহাসনে বসিয়েছিলেন যে মানুষদের, তাঁরা কি আজ অন্য গন্ধ পেয়ে বেইমানির পথে হাঁটছেন? ”

অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সম্পর্কে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, প্রদেশ কংগ্রেসের তিনি অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা হওয়ার পরও তাকে দক্ষিণ কলকাতার জেলা কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে ডাকা হয়নি। তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন যে, শিখা মিত্র ও তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কোনো ক্ষোভ নেই। গান্ধী পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁকে যোগ্য সম্মান দেয়নি।তাদের অভিযোগ, যারা একসময় কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তাদেরকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হলো, বড় পদও দেওয়া হলো, কিন্তু রোহন মিত্রদের বিষয়ে তেমন কিছু চিন্তা ভাবনা করে নি দল।যার ফলে দলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন রোহন মিত্র

আজ রোহন মিত্র জানালেন যে, তাঁর পিতা সোমেন মিত্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক লড়াই ছিল। কিন্তুসোমেন মিত্রে কখনোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনৈতিকভাবে ছোট করার কোন চেষ্টা করেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল থেকে উঠে এসেছিলেন, সোমেন বাবুও তাই। তিনিও তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছিলেন।

তাঁর তৃণমূলের যোগদান প্রসঙ্গে রোহন মিত্র জানালেন, ” আমি নিজে যুব কংগ্রেস থেকে উঠে এসেছি। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ যুব কংগ্রেসের ইতিহাস জানি। যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসেবে এক সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠনকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তা-ও জানি। যুব কংগ্রেস সভানেত্রী থাকাকালীনই তিনি প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। যুবনেত্রী তথা বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সব মাইলফলক স্পর্শ করে গিয়েছেন, তাতে আমি তাঁর প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল।” তাঁর এই বক্তব্য তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনাকে বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!