প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নারদ কান্ডে অভিযুক্ত থাকার কারণে রাজ্যের ৪ হেভিওয়েটকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। যারা হলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়। নারদ কান্ডে সিবিআই কেন গ্রেফতার করেনি সেসময়ের তৃণমূল নেতা ও আধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়কে? এই প্রশ্ন বারবার তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর কথোপকথনের একটি গোপন ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। যে ভিডিওতে শুভেন্দু অধিকারীকে স্পষ্ট বলতে শোনা যাচ্ছে যে, ভারতমাতাকে রক্ষার উদ্দেশ্যে জেলে যেতেও প্রস্তুত আছেন তিনি।

সম্প্রতি তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথোপকথনের একটি গোপন ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছেন। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখা প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এই ভিডিওতে শুভেন্দু অধিকারীকে স্পষ্ট ভাবে বলতে শোনা গেছে যে, ভারতমাতাকে রক্ষা করার জন্য জেলে যেতেও প্রস্তুত আছেন তিনি। তিনি অবিবাহিত। এই ভিডিওতে একাধিক অনাবাসী ভারতীয়র সঙ্গে কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রার্থনাও করেছেন।

শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গেছে যে, তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ তাঁদের নামে বহু মামলা করাচ্ছেন। তাই তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূল মুখপাত্র কি করে এই ভিডিও হাতে পেয়েছেন? এ প্রসঙ্গে কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন যে, কোন এক বিজেপি কর্মীর কাছ থেকে এই ভিডিও তিনি পেয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, নির্বাচনের প্রচারের সময় ধর্মীয় মেরুকরণ বিষয়ে যে সমস্ত প্রচার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক বিজেপি নেতা, তা দলের অনেকেই মেনে নেননি। তাঁদের মধ্যে থেকেই কোন এক ব্যক্তি এই ভিডিওটা তাঁকে দিয়েছেন।

কুনাল ঘোষ আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, একটা ভিডিওতে থেমে থাকবেন না তিনি। এরকম আরো ভিডিও তাঁর কাছে আছে। একটি একটি করে তিনি প্রকাশ করবেন। তাঁর কথায়, এটি পার্ট ওয়ান মাত্র। এরপর আরো ভিডিও সামনে আসতে চলেছে। সম্প্রতি, নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। এই ভিডিওটি সামনে আসতেই তীব্র শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। ভিডিওর সত্যতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুললেও, বন্ধ করা যায়নি চাপানউতোর।

অন্যদিকে, গতকাল এক ভিডিও বার্তায় শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, এখন তিনি রাজ্যের মন্ত্রী নন। গতবছর রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে থেকে যে কাজটি করতে পেরেছিলেন তিনি,এবার হয়তো সেটা তিনি করতে পারবেন না। তবে তিনি সকলের সঙ্গে আছেন। সকলের সঙ্গে থাকবেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তার তিনি সহযোগিতা করবেন। দুর্যোগের সময় মানুষের জীবন রক্ষা করা হবে তাঁর প্রধান কাজ। মানুষের পাশে থাকবেন তিনি।