এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > এবার কি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড়সড় আন্দোলনের পথে গেরুয়া শিবির? বিজেপি সাংসদের মন্তব্যে জল্পনা !

এবার কি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড়সড় আন্দোলনের পথে গেরুয়া শিবির? বিজেপি সাংসদের মন্তব্যে জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপি কর্মীদের ওপর সংঘর্ষ, মারধর, খুনের অভিযোগে তৃণমূলকে বারবার অভিযুক্ত করেছে বিজেপি। গত শুক্রবার হালিশহরের এক শ্মশানে এক বৃদ্ধর মৃতদেহ দাহ করতে এসে শাসকদল তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আহত হলে দুজন বিজেপি কর্মী। গুরুতর আহত দুজন বিজেপি কর্মীকে কল্যাণীর জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল শনিবার তাঁদেরকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সেখান থেকে তিনি জানালেন, শাসক দল তৃণমূলকে পাল্টা প্রতিরোধের সময় এসে গিয়েছে। পাল্টা মার দিতে হবে শাসক দলকে। শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

গত শুক্রবার রাতে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বীজপুর থানার অন্তর্গত হালিশহর এলাকাতে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, হালিশহরের শ্মশানে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ দাহ করতে এসে শাসকদলের দুষ্কৃতীদের হাতে আহত হয়েছেন দু’জন বিজেপি কর্মী। প্রসঙ্গত, কাঁচড়াপাড়ার বাসিন্দা সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায় নামে দুই ভাই দুজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। তাঁরা দুজনেই বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য। তাঁদের উপরেই শুক্রবার রাতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আহত সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ” রাতে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনীর প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আমাদের উপর আচমকা চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। আমরা বিজেপি যুব মোর্চার সদস্য, সেটাই আমাদের অপরাধ।”

প্রসঙ্গত, সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায় এই দুই বিজেপি কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায়, মুখে আঘাত করা হয়। দুজনেই মারাত্মক জখম হন। রক্তাক্ত ও আহত অবস্থায় তাদের ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর আহত দুজন বিজেপি কর্মীকে নদীয়ার কল্যাণীর জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়ের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেল। তাদেরকে দেখতে গতকাল হাসপাতালে গিয়েছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং।যদিও, এই ঘটনা সম্পর্কে তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং জানালেন যে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যেভাবে বিজেপির ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে, এবার তার পাল্টা প্রতিরোধের সময় এসে পড়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপির কর্মীরা মার খেলেও পুলিশ চুপ করে বসে থাকে। তাই দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই এবার পাল্টা প্রতিরোধের সময় এসেছে। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ” আর চুপ করে বসে থাকব না আমরা।”

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, তৃণমূলের দিক থেকে মানুষের সমর্থন চলে গেছে। তাই বিজেপি কর্মীদের ওপর এভাবে হামলা করছে তৃণমূল। তাঁর দাবি, তৃণমূল সরকার আর বেশিদিন ক্ষমতায় নেই। এরকম ভাবে মারধর করে বিজেপিকে আটকাতে পারবে না তৃণমূল। বিজেপি নেতা অর্জুন সিং এর এই বক্তব্যের নতুন করে জল্পনা ছড়ালো। অনেকেই মনে করছেন, এবার শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড়োসড়ো প্রত্যাঘাতের পথে নামতে চলেছে বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!