এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার কি ত্রিপুরাতেও বিজেপি গড়ে ভাঙন সময়ের অপেক্ষা? বিজেপি বিধায়কদের পরিষদীয় বৈঠকে অনুপস্থিতি বিতর্ক বাড়াচ্ছে

এবার কি ত্রিপুরাতেও বিজেপি গড়ে ভাঙন সময়ের অপেক্ষা? বিজেপি বিধায়কদের পরিষদীয় বৈঠকে অনুপস্থিতি বিতর্ক বাড়াচ্ছে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে চলে আসার পর থেকেই ত্রিপুরার বিজেপি সংগঠন নিয়ে ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, সম্প্রতি বিপ্লব দেবের মন্ত্রীত্ব নিয়ে দলের অন্দরেও শুরু হয়েছে তীব্র কলহ। আর এবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ডাকা পরিষদীয় দলের বৈঠকে উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল বেশ কিছু বিধায়ককে। যাদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাজনৈতিক মহলে। আর এখানেই সিঁদুড়ে মেঘ দেখছে বিজেপি। অনুপস্থিত বিধায়কদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হল সুদীপ রায় বর্মন। প্রসঙ্গত এই সুদীপ রায় বর্মন ত্রিপুরার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলে পরিচিত ছিলেন।

পরবর্তীতে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র বিধায়ক পদে আবদ্ধ রাখা হয়। দলের পরিষদীয় বৈঠকে তাঁর বা অন্যান্য বিধায়কদের থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, ত্রিপুরা বিধানসভায় বিকেল চারটে পঞ্চাশ নাগাদ এই বৈঠক হয় শুক্রবার। আর সেখানেই গরহাজির থাকতে দেখা যায় সুদীপ রায় বর্মন, রামপ্রসাদ পাল, পরিমল দেব বর্মন, আশিস দাস, আশিস কুমার সাহা সহ আরো বেশ কয়েকজন বিধায়ককে। এবং সবথেকে চাঞ্চল্যকর খবর হলো এদের মধ্যে বেশিরভাগই মুকুল রায়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে শোনা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মাও অনুপস্থিত ছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও তিনি কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী অনুষ্ঠান থাকার দরুণ তিনি পরিষদীয় বৈঠকে হাজির হতে পারেননি। সম্প্রতি সুদীপ রায় বর্মন দিল্লি গিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে অনেকেই মনে করছেন, ত্রিপুরার গেরুয়া শিবিরে ভাঙন রোধ করতে কি তাহলে সুদীপ রায় বর্মনকে এবার ত্রিপুরার মন্ত্রীসভায় জায়গা দেওয়া হবে? যদিও তা নিয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ত্রিপুরার ভাঙন নিয়ে যেভাবে ক্রমশ বিতর্কের মাত্রা চড়ছে, তা কিন্তু কার্যত বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভাকে চ্যালেঞ্জ করছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে বাংলার তৃণমূল শিবির ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার গেরুয়া শিবিরকে ভাঙতে খেলা শুরু করে দিয়েছে বলেই মন্তব্য রাজনীতির কারবারীদের।  এবং এক্ষেত্রে মুকুল রায় যে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবেন তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই পরিষদীয় দলের বৈঠকের দশজন বিধায়কের অনুপস্থিত থাকা কার্যত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে বড়োসড়ো বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত এই পরিস্থিতি সামলাতে গেরুয়া শিবির এবার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!