এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার কি উত্তরবঙ্গের এই হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ তৃণমূলে যাচ্ছেন? মুখপাত্রের পোস্ট ঘিরে জল্পনা

এবার কি উত্তরবঙ্গের এই হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ তৃণমূলে যাচ্ছেন? মুখপাত্রের পোস্ট ঘিরে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে করোনার মহাতান্ডবের মাঝেই শোনা যাচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের পদধ্বনি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে নিজেদের সংগঠন মজবুত করার আগাম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের সমস্ত দলই। প্রসঙ্গত, গত ২১ সে জুলাইয়ের দলীয় শাহিদ দিবসের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল ছেড়ে অন্যান্য দলে চলে যাওয়া অভিমানী তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পুনরায় তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের সুপারিশ করেছিলেন।

আর এখানেই তিনি থেমে থাকেন নি, আভিমানি দলত্যাগীদের তৃণমূলমুখী করতে প্রশান্ত কিশোরকে তাঁর টিম সহ নামিয়ে দিয়েছেন রাজনীতির অঙ্গনে। সেই সঙ্গে যে যে সমস্যা বা বিবাদের কারণে তৃণমূল সদস্যরা একদা দলত্যাগ করেছিলেন, সেই সমস্যাগুলিরও সুষ্ঠ সমাধান করে তাদের দলে ফেরানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, অল্প কিছুদিন আগেই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্যস্তরের এক নেতা ও তৃণমূল দলের নতুন মুখপাত্র নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিলেন, “বিজেপির চার সাংসদ, ১ বিধায়ক ও ১৬ কাউন্সিলর…” । এ প্রসঙ্গে অনেকেই বলে থাকবেন, রাজনীতির ব্যাপারে একটা ফেসবুক পোস্ট কতটাই বা গুরুত্বপূর্ণ ! আর একেই তো ফেক নিউজের আখড়া হলো এই ফেসবুক !

তাঁদের এই প্রসঙ্গে জানাতে চাই, বর্তমানের করোনা পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে ফেসবুকের গুরুত্ব কিন্তু আগের চেয়ে এখন অনেকটাই বেশি। কারণ ফেসবুকের পেজই কিন্তু এখন রাজনীতির দেওয়াল, আর পোস্টগুলি হলো দেওয়াল লিখন। আর ফেসবুকে জল্পনা ছড়ানোর মাধ্যম হলো বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক মাধ্যমগুলো।ফেসববুক তথা সোশ্যাল মিডিয়ার এই গুরুত্বকে বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন পিকে। আর একারণেই জন সংযোগ কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াকেও ঘরওয়াপসির কাজে ব্যবহার করতে চলেছেন পিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার পূর্বের প্রসঙ্গে ফেরা যাক। “বিজেপির চার সাংসদ, ১ বিধায়ক ও ১৬ কাউন্সিলর…” ফেসবুক পেজে এই অতিসামান্য, বলা যায় অসম্পূর্ণ । কিন্তু এই পোস্টটির পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন বিজেপি নেতা হুমায়ূন কবীর। এই পোস্টটি করার সময় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছিলেন বিপ্লব মিত্র ও প্রশান্ত মিত্র। আর এবার এই ফেসবুকের পেজেই ঘোরাফেরা করছে উত্তরবঙ্গের বিজেপির এক মহারথীর তৃণমূলে ফেরার আসার কথা।

তিনি আর কেউ নন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামণিক। হ্যা ঠিক ই শুনেছেন, বিজেপির এই মহারথী একদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন তৎকালীন কোচবিহার যুব তৃণমূল জেলা সভাপতির পদ থেকে তাঁকে অপসারণের কারণে। এবার আবার সভাপতি বদলাবার চেষ্টা চলছে তৃণমূলে। শুধু নিশীথ প্রামানিকই নন আরও অনেক বড় লাইন নাকি অপেক্ষা করছে তৃণমূলের দিকে গোপনে হাত বাড়িয়ে বলে তুমুল জল্পনা সোশ্যাল মিডিয়ায়।

যার মধ্যে নাকি রয়েছেন বিজেপির বহু সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলর সহ আরও অনেকে। ফেসবুকের আনাচে, আনাচে উড়ছে এমন অনেক কানাঘুসো আর বাড়ছে জল্পনা। অভিমানীদের পুনরায় তৃণমূলে ফিরিয়ে আনতে শাসকদলও উঠেপড়ে লেগেছে। তবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ মোটেই এই জল্পনাগুলিকে আমল দিতে রাজি নন।

কারণ, তাঁর দাবি, কোন নেতা-কর্মীই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “বিজেপি ছেড়ে এখন তৃণমূলে যাঁরা যাবে তাঁরা পাগল ছাড়া কেউ নয়। কেননা বাংলায় পরিবর্তন হচ্ছেই, তা মানুষ বুঝে গিয়েছে। তাই তৃণমূলে গিয়ে আর পাওয়ার কিছু নেই। তৃণমূলও বুঝতে পেরে গিয়েছে ওদের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে, তাই এইসব করে বেড়াচ্ছে।” এখন দেখার দিলীপবাবুর কথা সঠিক, নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো দলবদলের জল্পনা সঠিক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!