এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার লকডাউনের গেরোয় আটকে আস্থাভোট, বিপাকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল

এবার লকডাউনের গেরোয় আটকে আস্থাভোট, বিপাকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন শুরু হয়ে যায়। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। অন্যদিকে বিজেপির হাত ধরে বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাতে চলে এসেছে। এই অবস্থায় পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্তত সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং একটি পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। কিন্তু বারবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেও শাসক দলকে হতাশ হতে হচ্ছে।

কারণ কিছুতেই অনাস্থা প্রস্তাব কার্যকর হচ্ছেনা। তবে এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই, বরং করোনাই এক্ষেত্রে ভিলেন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার্যত রাজ্যে করোনা সামাল দিতে লকডাউনকেই হাতিয়ার করে নেওয়া হয়েছে। আর সেই গেরোয় পড়ে আস্থাভোটের দফারফা। প্রসঙ্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা, ঘাটাল, মেদিনীপুর সদর, দাঁতন  এবং শালবনিতে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং একটি পঞ্চায়েত সমিতিতে সম্প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসে তৃণমূল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু করোনার কারণে এইসব পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে আস্থাভোট করা যায়নি। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোট পরবর্তী সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের যে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও একটি পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থার আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলিতে প্রয়োজন থাকা সত্বেও এখনই আস্থাভোট করানো যাবেনা। কারণ করোনার কারণে রাজ্যজুড়ে আংশিক লকডাউন চলছে।

আপাতত 15 ই জুলাই পর্যন্ত সময় নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জানানো হয়েছে, তারপরে যে কোন দিন আস্থাভোট হতে পারে। অন্যদিকে তৃণমূলের আশঙ্কা, সময় যত যাবে ততই বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলি দখল করতে আস্থা ভোট করার প্রয়োজন। আপাতত 15 ই জুলাই এর পর পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় আস্থা ভোট প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!