এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ নিয়ে নতুন রাজনৈতিক টানাপোড়েন মহারাষ্ট্রে

এবার মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ নিয়ে নতুন রাজনৈতিক টানাপোড়েন মহারাষ্ট্রে


মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক নাটকীয়তা যেন আর থামতেই চাইছে না। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হয়, আর এই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণকে ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে তাঁর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেন। আর এই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ এর পর থেকেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানান জল্পনা শুরু হয়েছে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণকে ঘিরে। ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় এনসিপি ও কংগ্রেস সমর্থকরা তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলতেই থাকছে। শুরু হয়েছিল মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে। এখনো শেষ হয়নি। সম্প্রতি 35 জন মন্ত্রী নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে তাঁর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেছেন। 35 জন মন্ত্রী শপথ নিলেও তাঁরা এখনো পর্যন্ত দপ্তর পাননি বলে খবর। পাশাপাশি আরেকটি জল্পনাও মহারাষ্ট্রে তৈরি হয়েছে। সেটি হল- এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার উপ মুখ্যমন্ত্রীর জায়গায় অর্থমন্ত্রী হতে চলেছেন। আর এই নিয়েই ক্রমশ বিতর্ক দানা বাঁধছে মহারাষ্ট্রের তিন দলের জোট সরকারের মধ্যে।

সূত্রের খবর, এই সপ্তাহে 35 জন মন্ত্রিদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হবে। ওই 35 জন মন্ত্রীর মধ্যে অজিত পাওয়ার এবং উদ্ধব পুত্র আদিত্য ঠাকরেও আছেন। শোনা যাচ্ছে, এনসিপি’র অজিত পাওয়ারকে অর্থমন্ত্রীর আসন দেওয়া হতে পারে। আদিত্য ঠাকরে পরিবেশ ও পর্যটন দপ্তরের মাথায় বসতে পারেন। এছাড়া রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা অশোক চৌহানকে পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী করা হতে পারে বলে খবর। সাথে জয়ন্ত পাটিলকে সেচ দপ্তর, জিতেন্দ্র আওয়াদকে আবাসন দপ্তর, বালাসাহেব থোরটকে রাজস্ব দপ্তর এবং এনসিপি’র মুখপাত্র নবাব মালিক দায়িত্ব পেতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, গত সোমবারই উদ্ধবের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হয়েছে। তিনটি দল এনসিপি, শিবসেনা এবং কংগ্রেস থেকে 35 জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত দপ্তর বন্টন হয়নি তাঁদের মধ্যে। আর সেই নিয়েই প্রচুর জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দেশের রাজনৈতিক মহলে আরো একটি বিষয় নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। সেটি হল, অজিত পাওয়ার এর অর্থমন্ত্রী হওয়ার খবর। সূত্রের খবর, অজিত পাওয়ার- যে সেচ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ছিল, তাঁর হাতে অর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর তুলে দেওয়ার ব্যাপারে অনেক বিধায়কই আপত্তি জানিয়েছেন।

কিন্তু উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনে শরদ পাওয়ারের ভূমিকা কে অস্বীকার করতে না পেরে অজিত পাওয়ারকে না করতে পারেননি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি আরও একটি খবর ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সেটি হলো যদি অজিত পাওয়ার অর্থমন্ত্রী হন তাহলে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে আসবেন এনসিপির জয়ন্ত পাটিল। তবে মনে করা হচ্ছে এধরনের কিছু হলে মহারাষ্ট্র সরকারে এনসিপি’র প্রভাব অনেকটাই বেড়ে যাবে এবং তার ফলে কংগ্রেস ও শিবসেনার অনেক বিধায়ক ক্ষুব্ধ হবেন কারণ মহারাষ্ট্র সরকারের ওপর তাহলে এনসিপি’র প্রভাব বহুলাংশে বেড়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ঘটনা বেশ কিছুদিন আগে সারা দেশবাসী চাক্ষুষ করেছে। রাজনৈতিক নাটকীয়তার ধাক্কায় ক্রমশ উত্তেজনার পারদ চড়েছে। ঠিক এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট পুরো ব্যাপারটি হাতে নেয় এবং অবস্থা সামাল দেয়। এরপর মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার দখল নেয় শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস জোট। এবার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সূত্রপাত হয়েছে। আপাতত নতুন মন্ত্রিসভায় কে কোন পদ পায় সে দিকেই নজর রাখছে দেশের রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!