প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম তারকা প্রচারক হয়ে উঠেছিলেন যিনি, তিনি হলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিভিন্ন সভায় গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখা গিয়েছে ফিল্মি ডায়লগ দিয়ে বিজেপির প্রচার করতে। আর নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর সেই প্রচারের জন্যই কার্যত বিপাকে পড়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ হিসেবে বলা হয়েছে, মিঠুন চক্রবর্তীর উস্কানিমূলক মন্তব্যই ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আইনি বিপাকে পড়েন রূপোলি পর্দার তারকা। আর এবার তাঁর হয়ে মুখ খুললেন সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ।

উল্লেখ্য, মিঠুন চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন, তাঁর মামলা খারিজ করার জন্য। কিন্তু হাইকোর্ট মামলা চালানোর নির্দেশ বজায় রাখে এবং মিঠুন চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয়। আর এবার মিঠুন চক্রবর্তীর হয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অন্যতম বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল এদিন জানান, সাধারণ মানুষের আবদারে মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর ছবির বিখ্যাত সংলাপগুলি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন।

সেখানে তাঁর কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। একইসঙ্গে বাবুল পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, মিঠুন চক্রবর্তী যখন তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতেন, তখনও তিনি এই একই ডায়লগ দিতেন মঞ্চে উঠে। আর এরপরেই বাবুলের চোখা প্রশ্ন, সে সময় মিঠুনের বিরুদ্ধে কোনো এফআইআর হয়নি কেন? সেক্ষেত্রে বাবুলের দাবি, যেহেতু মিঠুন চক্রবর্তী গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রচার করেছেন, তাই তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এভাবে জনপ্রিয় মানুষের পুলিশি হেনস্থা করার প্রতিবাদে বাবুল সুপ্রিয় তীব্র সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্নভাবে কটাক্ষ করতেও পিছপা হননি বিজেপি সাংসদ। অন্যদিকে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আইনি মামলা করে যখন এভাবে রাজ্য সরকার তাঁকে হেনস্থা করছে তখন শিল্পীমহল কেন চুপ করে রয়েছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী এই মুহূর্তে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে। সেক্ষেত্রে তাঁকে ডিফেন্স করার জন্য বাবুল সুপ্রিয় যেভাবে মুখ খুলেছেন তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। আগামী দিনে মিঠুন চক্রবর্তীর মামলায় নতুন কোন মোড় আসে কিনা সেটাই দেখার।