এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > এবার মোদী-শাহ-দোভালকে প্রাণে মারার পরিকল্পনা পাকিস্তানের? সামনে এল বিস্ফোরক রিপোর্ট

এবার মোদী-শাহ-দোভালকে প্রাণে মারার পরিকল্পনা পাকিস্তানের? সামনে এল বিস্ফোরক রিপোর্ট


পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসের শিরোনামে থাকে। আমেরিকার কালো তালিকায় একেবারে প্রথমে দিকেই রয়েছে যে জঙ্গি সংগঠন তার সঙ্গে পাকিস্তানের সরাসরি সম্পর্কের কথা জানা যায়। আল-কায়দা থেকে আইএসআই সবারই যোগ আছে পাকিস্তানের সঙ্গে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করে পাকিস্তান। ভারতকে কোণঠাসা করতে আন্তর্জাতিক মহলের সব দরজাতেই ঘুরেছে পাকিস্তান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদ তার কার্যে সফল হয়নি।

আন্তর্জাতিক মহলের বেশিরভাগ দেশই কাশ্মীর ইস্যু যে ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার তা জানিয়ে দেয়। এবং তাতে ইসলামাবাদের মুখ পোড়ে বিশ্বমঞ্চে। তারপরেই পাকিস্তান আরো চটে যায় ভারতের ওপর। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে এবার পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা চালাবে বলে আশঙ্কা। এনিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

এবার আইএসআই প্রধানমন্ত্রী মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এর ওপর হামলার লক্ষ্যে একটি স্পেশাল স্কোয়াড তৈরি করেছে। এই স্পেশাল স্কোয়াডটি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মহম্মদের কাছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য মিলেছে।

ভারতীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন, কাশ্মীর থেকে 370 প্রত্যাহারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর হামলার কারণ হতে পারে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই নন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও কাশ্মীর ইস্যুতে জড়িত বলে তাঁদের প্রাণ আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।

সূত্র মারফত জানা গেছে, একটি বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা জইশ জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান শামসের ওয়ানি ও তার সদস্যদের মধ্যে হওয়া রুদ্ধদ্বার বৈঠক থেকে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের মাধ্যমে এই হামলার ব্লুপ্রিন্ট জানা গেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে মোদীর ওপর হামলার আশঙ্কা করছে ওই বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই দেশের 30 টি বড় শহর যথা – জম্মু, অমৃতসর, পাঠানকোট, জয়পুর, গান্ধীনগর কানপুরের মত শহরগুলিতে জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট। শহরে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।

জঙ্গী হামলার খবর পেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা হলে, তিনি তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এনএসজি স্তরের সুরক্ষা বাড়ানোর কথা বললেও তিনি তা মেনে নিতে অস্বীকার করেন। এর আগে রাজনাথ সিং থেকে পি চিদাম্বরম, সুশীল কুমার সিন্দে এবং শিবরাজ সিং প্রত্যেকেই এই নিরাপত্তা সুরক্ষার আওতায় ছিলেন।

এর আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মাওবাদীদের হামলার শিকার হওয়ার খবরে তাঁর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলার হুমকি দেয় প্রকাশ্যে কাশ্মীর থেকে মুম্বাই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সাঈদ এর ডানহাত জঙ্গি নেতা মৌলানা বশির আহমেদ খাকি। আরেক জঙ্গি নেতা হাফিজ সাঈদ এর সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার শীর্ষ নেতা এবং এই জঙ্গি নেতা স্বীকার করে নেয় হাফিজের হিটলিস্টে মোদীর নাম সর্বপ্রথমে আছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নিতান্তই চিন্তিত হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হচ্ছে। একের পর এক গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরগুলি যে মোটেও সব মিথ্যা নয়, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নিরাপত্তা আধিকারিকরা।

কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তান সেরকম কোনো সুবিধা করতে পারেনি ভারতের কাছে।। উপরন্তু, ভারতের পক্ষ থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর যে ছিনিয়ে নেওয়া হবে সে বিষয়ে বারংবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তান সবকিছু থেকে বাঁচার একটাই রাস্তা খুঁজে পেয়েছে, তা হলো প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এর প্রাণহানি। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে জঙ্গিগোষ্ঠীকে সমর্থন করে এই হামলা করতে মদত দেওয়া হচ্ছে ইসলামাবাদ এর পক্ষ থেকে।

তবে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী পূর্বে খবর পেয়ে যাওয়াতে আশা করা হচ্ছে এবারে তাদের বুদ্ধি কাজে লাগবে না। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পাকিস্তান এত সহজে হার মানবে না। একবার না হলেও তাঁরা বারংবার চেষ্টা করবে এই হামলাকে ফলপ্রসূ করার। আপাতত নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী কি কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে সেদিকেই নজর রাখবে সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!