এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার মুখোমুখি সংঘর্ষে তৃণমূল-বিজেপি, রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে

এবার মুখোমুখি সংঘর্ষে তৃণমূল-বিজেপি, রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোট যত সামনে আসছে, ততই রাজ্যজুড়ে অশান্তি-হাঙ্গামার খবর আসছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে কয়েকদফা কেন্দ্রীয় হাজির। নিয়মিত কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশন এবার অতিমাত্রায় সজাগ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করার জন্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এই অতি সজাগ থাকা সত্বেও রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা কিন্তু এড়ানো যাচ্ছেনা। যেমন পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে এদিন তৃণমূল-বিজেপির ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম এই মুহূর্তে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের এপিসেন্টারে পরিণত হয়েছে। তাই পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক উত্তেজনা অনেক বেশি।

নন্দীগ্রামে এবার মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এই প্রথমবার তাঁর বিপরীতে শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরের হয়ে। পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতিটি কেন্দ্রে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর বেড়ে চলেছে আর তার প্রভাব দেখা গেল খেজুরিতে মঙ্গলবার। তৃণমূল এবং বিজেপির একটি মিছিল মুখোমুখি হয় এবং অবধারিতভাবে দুই শিবিরের মধ্যে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, এদিন সকালে খেজুরীর বীরবন্দর এলাকায় প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম দাস। উল্টোদিক থেকে সে সময় বিজেপির একটি মিছিল আসছিল।

সেই মিছিলে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু প্রামাণিকের হয়ে স্থানীয় নেতারা মিছিল করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, দুটি মিছিল কাছাকাছি আসতেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রথমে স্লোগানের বিরুদ্ধে স্লোগান, তারপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই শিবিরের কর্মী সমর্থকরা। জানা গেছে, তৃণমূলের মিছিলের ওপর প্রথমে হামলা চালানো হয় এবং প্রার্থী পার্থপ্রতিম দাসের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলার খবর পাওয়া মাত্রই আশপাশ থেকে জড়ো হন আরো অন্য তৃণমূল সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে খেজুরি থানার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু জানা গিয়েছে, এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে এই হামলার দায় যথারীতি তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরের উপর চাপিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম দাস অভিযোগ করেছেন, প্রচারে বেরোনোর পর বিজেপির কিছু দুষ্কৃতী তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। গোটা ঘটনা তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিজেপির কাঁথি সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস দোলই জানিয়েছেন, তৃণমূল কর্মীরা প্রচারের সময় বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি করেন। তারই প্রতিবাদ করতে গেলে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করেন বিজেপি কর্মীদের।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে খেজুরি থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে। এই হামলার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী তৃণমূল শিবিরকে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, হারার ভয়ে বিজেপির ওপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। অন্যদিকে কাঁথি উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুমিতা সিনহার সমর্থনে প্রচারে বেরোনোর পর বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এই হামলার পেছনে তৃণমূল জড়িত বলে দাবী করা হয়েছে। আবার মারিশদা থানা এলাকায় বিজেপির মিছিল কে কালোপতাকা দেখানো হয়েছে।

সেখানেও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সবমিলিয়ে ভোট যত সামনে আসছে, ততই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে ক্রমশ বেড়ে চলেছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে যাতে কোনো রাজনৈতিক সংঘাত না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর রেখেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রায় নিত্যদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর শোনা যাচ্ছে। পাশাপাশি আজ পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির ঘটনা ভোটের আবহে রাজনৈতিক বিতর্ক যে আরও বাড়াবে, সে কথা বলাইবাহুল্য।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!