এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > ‘ওনার চরিত্রেরও দোষ আছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর নামে অশ্লীল মন্তব্য করলেন বিজেপি নেত্রী, জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে

‘ওনার চরিত্রেরও দোষ আছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর নামে অশ্লীল মন্তব্য করলেন বিজেপি নেত্রী, জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে


রাজ্যজুড়ে এন আর সি ও সি এ এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল চলছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। প্রথম দিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী রাজপথে এনআরসির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন, বিরুদ্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। একদিকে যেমন রাজ্য তৃণমূল নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে অন্যদিকে সেরকমই রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এর সমর্থনে জায়গায় জায়গায় সভা করে বেড়াচ্ছে বিজেপি। আর এরকম একটি সভা থেকে এবার নজিরবিহীন ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হলো বিজেপির পক্ষ থেকে।

রবিবার বাঁকুড়ার ওন্দায় নাগরিকত্ব আইন এর সমর্থনে সভা করতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সহ-সভানেত্রী রাজকুমারী কেশরী নজিরবিহীন ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন। তিনি বলেন, ‘দিদি পেত্নি, দিদির চরিত্রের দোষ আছে।’ শুধু তাই নয়, নিজের বক্তব্যের পক্ষে তিনি দাবি জানিয়েছেন যে, তিনি ঠিকঠাক বিশেষণ প্রয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। এই ঘটনা সামনে আসার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজেপির নেতা নেত্রীরা যে ধরনের কথা বলে চলেছেন, তার প্রভাব অবশ্যই তাদের ভোট বাক্সে পড়বে।

একদিকে, যেমন রাজ্যের শাসক দল এনআরসি বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জেলায় জেলায়, ঠিক সেরকমই পাল্টা নাগরিকত্ব আইন এর সমর্থনে বিজেপি রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে সভা ও মিছিল শুরু করেছে এরকমই একটি সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভার রতনপুর অঞ্চলে। রবিবার সেই সভায় যোগ দিয়ে রাজ্যের সহ-সভানেত্রী রাজকুমারী কেশরী মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে ‘পেত্নী’ বলে সম্বোধন করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলার মাটিতে কোনও গরিমা নেই, এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ঘন্টা বাজাচ্ছেন। এবং ক্যা ক্যা করছেন। উনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যই নন।’ এর সাথে তিনি যোগ করেন ‘২০০৫ সালে যিনি সংসদে দাঁড়িয়ে স্পিকারের দিকে কাগজ ছুঁড়ে ‘এনআরসি’ চাই বলেছিলেন, আর আজ দিদির কী এমন হয়ে গেল যে উলটে গেলেন? ওনার চরিত্রেরও দোষ আছে।’

সভাশেষে রাজকুমারী কেশরী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি নিজের বক্তব্যের সমর্থনে দাবি জানান, অন্যদিকে রাজ্যে তৃণমূল নেতৃত্ব রাজকুমারী কেশরী বেলাগাম ও নজিরবিহীন ভাষার প্রয়োগে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ। এ প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা জানিয়েছেন, ‘বিজেপি নেতানেত্রীরা কুকথায় পিএইচডি করেছেন। সাধারণ মানুষও তা বুঝেছেন ঝাড়খণ্ডের ফলাফলে। আগামী দিনে এর প্রভাব পড়বে ওদের ভোটবাক্সে।’ এদিন সভায় হাজির ছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর স্ত্রী সুজাতা খাঁ। এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রায় 100 জন সিপিএম তৃণমূল সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেছে।

বিজেপির পক্ষ থেকে এ ধরনের নজিরবিহীন মন্তব্যের জন্য রাজ্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে রাজনীতি করতে গিয়ে এমন কোন মন্তব্য করা উচিত নয়, যাতে ব্যক্তিবিশেষ কাউকে আঘাত করা হয়।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের দাবি, রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যে দিয়ে যাতে কোনো কুকথা না বেরিয়ে আসে, সেদিকে নজর রাখতে হবে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। আপাতত সমগ্র বিষয়টি নজরে রেখেছে এই রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!