প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁরাই আবার রাজ্যের তৃণমূলের ক্ষমতা দখলের পর থেকে ঘরওয়াপসি শুরু করে ফেলেছেন অনেকেই। ইতিমধ্যে তৃণমূলে চলে এসেছেন অনেকেই, আবার অনেকেই তৃণমূলে ফেরার পথে। মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে এই ভাঙন শুরু হয়েছিল। সেই ভাঙন কিন্তু এখনও অব্যাহত। বিজেপি থেকে তৃণমূলে একের পর এক হেভিওয়েট যোগ দিয়েছেন।

মুকুল রায় একুশের বিধানসভার নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের হয়ে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন এবং বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। কিন্তু তারপরেই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি বিধায়ক পদ ছাড়েননি। উপরন্তু তিনি সংসদের পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন বিজেপির হাজার ওজর আপত্তি সত্ত্বেও। আর তারপর থেকেই বিজেপি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে।

প্রথমেই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট সর্বত্র বিজেপি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য দ্বারস্থ হয়। এবার সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে পাল্টা মুকুল রায়ের বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ঘোষণা করল। খুব স্বাভাবিকভাবেই দেশের শীর্ষ আদালতের এই  সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে।

কার্যত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়ের বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত নিন এবং তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসুন। খুব স্বাভাবিকভাবেই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানা বাহানা চলছে। এবার দেশের শীর্ষ আদালত মুকুল রায়ের বিধায়ক নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করল। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবার, এখন সেটাই দেখার। বর্তমানে মুকুল রায় যথেষ্টই অসুস্থ।