এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার মুকুলের হয়ে ব্যাট ধরলেন রাজ্যের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা, লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরকে ক্লিন বোল্ড করা

এবার মুকুলের হয়ে ব্যাট ধরলেন রাজ্যের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা, লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরকে ক্লিন বোল্ড করা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শুক্রবার  যখন মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশু রায় তৃণমূলে চলে এলেন, ঠিক তারপর থেকেই গেরুয়া শিবিরের এক ঝাঁক নেতা-নেত্রী ক্রমাগত মুকুল রায়কে আক্রমণ করে চলেছেন। আর এবার জবাব দিতে ময়দানে নামলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মুকুল রায়ের বিজেপি ছাড়া নিয়ে কমবেশি সবাই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আর এবার ব্রাত্য বসু শুধুমাত্র রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানায় রেখে টুইট আক্রমণ করলেন। সূত্রের খবর, ব্রাত্য বসুর টুইট রীতীমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে নেটদুনিয়ায়। টুইটের মাধ্যমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রীতিমত তাঁর দিল্লি ভ্রমণ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ব্রাত্য।

একসাথে রাজ্য রাজনীতিতে বর্তমানে ঘটে চলা ঘটনাবলী প্রসঙ্গে সহানুভূতির কথা বলেছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্রাত্য বসুর ইঙ্গিত যে মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদান সে কথা বুঝতে কারো বাকি নেই। এই বক্তব্যের সঙ্গে ব্রাত্য বসু জুড়ে দেন একটি ভিডিও। সূত্রের খবর, এই ভিডিওটিতে শুভেন্দু অধিকারীর 2019 এ বিজেপিবিরুদ্ধ একটি বক্তব্য যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই 2021 এর একটি বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, ব্রাত্য বসু শুভেন্দুর দু’রকম কথা বলার বিষয়টিকে তুলে ধরছেন কারণ একই কথা নিয়ে মুকুল রায়কে আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন বিজেপির পক্ষ থেকে অনেকেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে হঠাৎ করে মুকুলের বিজেপিতে আসার পেছনে বিভিন্ন কারণের ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো শুভেন্দুর সঙ্গে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক সংঘাত। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পরেই দেখা গিয়েছে ধীরে ধীরে মুকুল রায়ের গুরুত্ব কমেছে। গেরুয়া শিবিরে তিনি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও সর্বক্ষেত্রে তিনি গুরুত্ব পাননি, যতটা গুরুত্ব শুভেন্দু অধিকারী পেয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। এমনকি মুকুলকে নয়, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা করা হয়েছে শুভেন্দুকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে, মুকুল রায় বিধানসভায় শুভেন্দুর থেকে অভিজ্ঞতায় বড় হয়েও তাঁর নেতৃত্বে কাজ করার ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি।

সেক্ষেত্রে বিজেপি ছাড়ার এটা অন্যতম কারণ। পাশাপাশি বর্তমানে তৃণমূল সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সর্বভারতীয় নেতা হিসাবে গেরুয়া শিবিরে কিন্তু যথেষ্ট পরিচিত হয়েছিলেন মুকুল রায়। সেই মুকুল রায় তৃণমূল এলেন, স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্যে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেলো বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে দলবদল আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে। আর এই নিয়ে যে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে তা প্রমাণ করে দিয়েছে ব্রাত্য বসুর টুইট অ্যাটাক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!