প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ২০১৯ সালে লখনৌ, জয়পুর, গৌহাটি, আমেদাবাদ, তিরুবন্তপুরমের মতো একাধিক বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। একেবারে দরপত্র করে একাজ সুসম্পন্ন হয়েছে। ৫০ বছরের জন্য এই বিমানবন্দর গুলির দায়িত্বে রয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলো মুম্বাই বিমান বন্দরের নাম। মুম্বাই বিমানবন্দরের দায়িত্ব এবার থেকে চলে গেল আদানি গোষ্ঠীর হাতে। তবে মুম্বাই বিমানবন্দরের কিছু দায়িত্ব ইতিপূর্বেই এই গোষ্ঠীর হাতে চলে গিয়েছিল। মুম্বাই বিমানবন্দরের ২৩% শেয়ার চলে গিয়েছিল আদানি গোষ্ঠীর হাতে। তবে এবার বিমানবন্দরের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে চলে এলো আদানি গোষ্ঠী।

এ কারণে এবার থেকে দেশের ৩৩% এয়ার কার্গো ট্রাফিক আদানি গোষ্ঠীর হাতে চলে যাচ্ছে। গত কাল মুম্বাই ইন্টার্নেশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেডের বোর্ড মিটিং এর পরেই অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। গতকাল মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে, কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে আদানি গোষ্ঠীকে। এদিকে, নতুন করে বিমানবন্দর নির্মাণের কাজেও নামতে চলেছে আদানি গোষ্ঠী।

নভি মুম্বাই ইন্টার ন্যাশনাল এয়ারপোর্ট নির্মাণের কাজে নামতে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ৯০ দিনের মধ্যে বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শেষ হবে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যেই এই বিমানবন্দর থেকে শুরু হবে বিমান যাত্রা। গতকাল, আদানি গোষ্ঠীর অধিকর্তা গৌতম আদানি ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, বিশ্বমানের মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করে তাঁরা আনন্দিত হয়েছেন। তাঁরা গর্বিত করবেন মুম্বাইকে। এমন একটি এয়ারপোর্ট পরিবেশ তৈরি করবেন, যা আগামী দিনে ব্যবসা-বাণিজ্যে সহায়ক হবে। হাজার হাজার স্থানীয় মানুষ চাকরি পাবেন এখানে।