এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > এবার মুর্শিদাবাদে শুরু হতে চলেছে অধীর-শুভেন্দু দ্বৈরথ

এবার মুর্শিদাবাদে শুরু হতে চলেছে অধীর-শুভেন্দু দ্বৈরথ


এখনো পর্যন্ত এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের আসন ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। ভোট যুদ্ধের দামামা বাজতেই এবার মুর্শিদাবাদে হুংকার ছাড়লো দুই পক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস। এমনিতেই মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীর গড় বলেই সুপরিচিত। কোন সময় অধীর চৌধুরীকে তার গড় থেকে সরানো যায়নি। কোন দলই তা পারেনি।

সামনে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই তৃণমূল কংগ্রেস সর্বশক্তি নিয়ে মুর্শিদাবাদ দখলের উদ্দেশ্যে ঝাঁপাতে চলেছে। সে কারণেই দুর্গাপুজো মিটতে না মিটতেই শুভেন্দু অধিকারী ও অধীর চৌধুরী – দুই যোদ্ধার মধ্যে ভোট যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে।

মুর্শিদাবাদ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, এই জেলা থেকে তৃণমূল সর্বোচ্চ আসনে জিতবে। অন্যদিকে অধীর চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনে দেখা যাবে কে যেতে। পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই অধীর বাবু জেলাজুড়ে দলীয় কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছেন।

বুধবার তিনি বহরমপুরে এনআরসি বিরোধী সভা করেন। এই সভায় কংগ্রেসের জমায়েত দেখে কংগ্রেস নেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। শুধু তাই নয়, ওই কর্মসূচি ছাড়াও তিনি কংগ্রেস দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী করছেন। আবার 24 অক্টোবর থেকে তিনি রাজনৈতিক ময়দানে নামবেন।

অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী লোকসভা নির্বাচনের মতো বিধানসভা ভোটেও সাফল্য পেতে উঠে পড়ে লেগেছেন। পুজোর আগে তিনি কখনো জঙ্গিপুর কখনো রানীতলায় সভা করেছেন। আবার 19 অক্টোবর তিনি মুর্শিদাবাদ জেলায় আসছেন। ওই দিন তিনি তৃণমূল দলের স্থানীয় নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে লালবাগে পুরনো মতিঝিলে বিজয়া সম্মিলনী করবেন। এরপর তিনি একই কর্মসূচি বেলডাঙ্গাতেও করবেন বলে জানা গেছে।

তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, এনআরসি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীও সভা করতে চলেছেন। এছাড়াও প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে শুভেন্দু অধিকারী সভা করবেন বলে জানা গেছে। এদিন তৃণমূলের এক নেতার কথায় জানা গেল, মুর্শিদাবাদের সংগঠন সম্পূর্ণরূপে শুভেন্দু অধিকারীর ওপর নির্ভরশীল। লোকসভা নির্বাচনের আগে লাগাতার দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে মুর্শিদাবাদ দলের ভিত গড়ে তোলেন তিনি। শূন্য থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ জেলায় দুটি লোকসভা কেন্দ্রে সাফল্যের মুখ দেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে।

দলীয় সূত্রের খবর, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু জায়গায় কংগ্রেস তাঁদের সংগঠন ধরে রাখতে পারলেও বাকি জায়গাগুলোতে তৃণমূল ক্রমশ মজবুত হচ্ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বরমপুর লোকসভা কেন্দ্রকে তৃণমূল কংগ্রেস পাখির চোখ করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলীয় সূত্রের খবর, কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূল নেতৃত্ব নতুন জেলা কমিটি গঠন করবে। এবারের কমিটিতে অনেক সক্রিয় নেতাদের তুলে আনা হবে। কমিটি ঘোষণার পর নেতৃত্ব আরো জোরদারভাবে ভোটের ময়দানে নামবে। ইতিমধ্যেই ‘দিদিকে বল’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে তৃণমূল নেতারা প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে এই কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিধানসভা নির্বাচনে আবার জেলায় অধীর চৌধুরী বনাম শুভেন্দু অধিকারীর শক্তি পরীক্ষা হবে।

এদিন কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত দাস বলেন, কংগ্রেস কর্মসূচিতে যেভাবে জমায়েত হচ্ছে তাতে আগামী দিনের ছবি পরিষ্কার। তিনি আরো বলেন, কর্মসূচিতে আসার জন্য কংগ্রেসের তরফ থেকে বাস ভাড়া দেওয়া হয় না। তবুও বুধবার বহরমপুরে কংগ্রেসের এনআরসি বিরোধী সভায় বিপুল জনসমাগম হয়েছিল।

অন্যদিকে তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেছেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় একের পর এক উন্নয়ন হয়েছে শুভেন্দু বাবুর নেতৃত্বে। ইতিমধ্যে শুভেন্দু অধিকারী বহু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেছেন। মানুষ উন্নয়ন দেখেই লোকসভা নির্বাচনের মতো বিধানসভায় ভোট দেবে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, কংগ্রেস এবার আগের আসনগুলোকেও আর ধরে রাখতে পারবে না।

মুর্শিদাবাদ জেলায় বিধানসভা ভোটের আগে অধীর চৌধুরী এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে রাজনৈতিক যুদ্ধ নিয়ে এলাকার রাজনৈতিক মহল উদগ্রীব। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, মুর্শিদাবাদ জেলা অধীর চৌধুরীর এলাকা নামেই প্রসিদ্ধ। অতএব সেখানে শুভেন্দু অধিকারী যদি জয় ছিনিয়ে আনতে পারেন, তাহলে অধীর চৌধুরীর এতদিনের গড় ভেঙে পড়বে।

অন্যদিকে অধীর চৌধুরীও এত সহজে হার স্বীকার করবেন না। মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক ময়দান এর অনেক পুরনো খেলোয়াড় তিনি। তাই সারা বাংলার রাজনৈতিক মহল এবার অধীর আগ্রহে মুর্শিদাবাদের পরবর্তী ভোটযুদ্ধের জন‍্য অপেক্ষা করছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!