এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > এবার নন্দীগ্রাম থেকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর, লড়াই জমে উঠেছে

এবার নন্দীগ্রাম থেকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর, লড়াই জমে উঠেছে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যে দেখা যাচ্ছে একের পর এক চমকপ্রদ ঘটনা। গত ডিসেম্বরে ছিল বাংলার রাজনৈতিক পর্বে সবথেকে চমকপ্রদ ঘটনা। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী যোগ দিয়েছিলেন গিয়ে বিজেপিতে। দীর্ঘদিন বিজেপির বিরোধিতা করার পর হঠাৎ করেই তাঁর বিজেপিতে চলে যাওয়া চমকে দিয়েছিল সবাইকে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের মাঠ থেকে জোরদার চমক দিয়েছেন সবাইকে। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেখালির মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন তিনি নন্দীগ্রাম থেকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইতে নামছেন। পাশাপাশি তিনি ভবানীপুর থেকেও যে লড়াই করবেন সেই ইঙ্গিতও দেন।

অন্যদিকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সভার পরের দিনই আজকে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে হাইভোল্টেজ সভা করলেন। আর সেখান থেকেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। গতকাল শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা থেকেই ঘোষণা করেছিলেন, তৃণমূল নেত্রীকে নন্দীগ্রাম থেকে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তিনি। আর আজকে নন্দীগ্রামের হেঁড়িয়ার জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী এদিন তৃণমূল নেতৃত্বকে হতাশাগ্রস্ত বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করে বলেন, দু’জায়গায় দাঁড়ালে হবেনা। যেকোন এক জায়গায় নেত্রীকে লড়তে হবে।

পাশাপাশি শুভেন্দু আজকে বলে রাখলেন এখন থেকেই যেন তৃণমূল নেত্রী প্রাক্তন এমএলএ নামাঙ্কিত লেটারহেড রেডি রাখেন। কারণ তাঁকে হারতেই হবে। গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন, বিরোধী শিবির থেকে তাঁর জন্য ভেসে এসেছিল তীব্র কটাক্ষ। অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। তবে এদিন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল নেত্রীকে যে কোন এক জায়গায় প্রার্থী হবার কথা বলে পাল্টা চাপ দিতে চাইল। আবার অনেকেই মনে করছেন ভবানীপুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের পাড়া। সেখানে তৃণমূল নেত্রী দাঁড়ালে জিতেও যেতে পারেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার অন্যদিকে নন্দীগ্রামে রয়েছে 30% সংখ্যালঘু ভোট। অনেকেই মনে করছেন, এই সংখ্যালঘু ভোট শুভেন্দুকে ছেড়ে তৃণমূল নেত্রীর সহায়ক হয়ে উঠবে। সে কারণেই নন্দীগ্রামকে বেছে নিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু শুভেন্দু এদিন ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংকে বিজেপি চিড় ধরাবে। পাশাপাশি শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েন একুশের বিধানসভা নির্বাচনের 2 লক্ষ 13 হাজার মানুষের ভোটে গেরুয়া শিবির জিতবে। অন্যদিকে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জনপ্রিয়তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই স্থানীয় নেতাদের। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের মধ্যেও শুভেন্দুর জনপ্রিয়তা চরমে বলে জানাচ্ছেন অনেকেই। শুভেন্দু সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন উৎসবে তাঁদের পাশে থাকেন।

অন্যদিকে নন্দীগ্রাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগের দিন যে বার্তা দিয়েছিলেন, সেখানে কোনভাবেই শুভেন্দু অধিকারী বা অধিকার পরিবারের কথা বলেননি তিনি। এদিন পাল্টা শুভেন্দু পুরো ঘটনাটি মিথ্যা বলে অভিযোগ করলেন। পাশাপাশি শুভেন্দু নন্দীগ্রামের ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল সে কথা বুঝিয়ে দিলেন নন্দীগ্রামের শহীদদের তালিকা পেশ করেন। সব মিলিয়ে নন্দীগ্রাম এই মুহূর্তে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল বিজেপির লড়াই যে ক্রমশ শুভেন্দু মমতাতে এসে ঠেকেছে, সে কথা অনস্বীকার্য। এবং এই লড়াইয়ে নন্দীগ্রাম যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে, তা বুঝতে আর বাকি নেই। তাই একুশের ভোটে জবরদস্ত লড়াই দেখার জন্য এখন অপেক্ষা বাংলার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!