এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, নারদ মামলায় এবার নাম জরালো হেভিওয়েট মন্ত্রী ও সাংসদের

শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, নারদ মামলায় এবার নাম জরালো হেভিওয়েট মন্ত্রী ও সাংসদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ নারদ মামলায় এলো নয়া মোড়। আজ নারদ স্থানান্তর সংক্রান্ত মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুক্ত করে দিল সিবিআই। মামলায় তিনজনের নাম যুক্ত করেছে সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, গত সোমবার চারজন হেভিওয়েটকে নিজাম প্যালেসে আনা হয়েছিল। এরপর মুখ্যমন্ত্রী সেস্থলে উপস্থিত হন। যেখানে অভিযুক্তরা ছিলেন, সেখানেই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি হুশিয়ারি দেন, এই চারজনকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, না হলে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, হেভিয়েটদের আদালতে পেশ করতে যথেষ্ট বাধা দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসম্মানজনক ও অবমাননাকর বক্তব্য রাখার অভিযোগ এনেছে সিবিআই।

এমনকি সিবিআইয়ের আধিকারিকদের হুমকি দেয়ার অভিযোগও করা হয়েছে। সিবিআই অভিযোগ করেছে, গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ৬ ঘন্টা ধরনা দিয়েছিলেন। নিজাম প্যালেসের সামনে প্রচুর সংখ্যায় তৃণমূল সমর্থকদের এনে রাস্তা অবরোধ করে দেয়া হয়েছিল। ফলে অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করার সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ধারাতে মামলা করার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের অভিযোগ, গত সোমবার বহু আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে সিবিআই দপ্তর এসেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার অফিস হেডকে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি, তাঁকে হেনস্থা পর্যন্ত করেছিলেন। ভয়ঙ্কর পরিণতি করবার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি, এমন অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সেদিন তিনি বিপুল সমর্থক নিয়ে নিম্ন আদালতে এসেছিলেন। আদালতে সকলকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সিবিআইয়ের থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সেদিন সিবিআই দপ্তরের সামনে ও নিম্নআদালতে যেভাবে অশান্তি করা হয়েছিল। তাতে তাঁরা মনে করছেন যে, এখানে থেকে সুষ্ঠু ভাবে বিচার করা সম্ভব নয়। যে পরিবেশে নিম্ন আদালত সেদিন রায় ঘোষণা করেছিল, সেই রায়তে সাধারণ মানুষের আস্থা থাকবে না বলেই তাঁদের অভিমত। তাই নারদ মামলা অন্যরাজ্যে স্থানান্তর করার আর্জি জানিয়েছে সিবিআই।

সম্প্রতি আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। সিবিআই ও তৃণমূলের পক্ষ থেকে একাধিক স্বনামধন্য আইনজীবীরা মামলায় লড়াই করছেন। তৃণমূলের হয়ে সওয়াল করছেন অভিষেক মনু সিংভি, সিদ্ধর্থ লুথরা। সিবিআইয়ের হয়ে সওয়াল করছেন তুষার মেহতা ও ওয়াই জে দস্তুর। আদালতে আজ ভাগ্য পরীক্ষা চার হেভিওয়েটদের। তাঁরা জামিন পান? নাকি মামলা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়? সেদিকে দৃষ্টি রয়েছে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!