এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার নতুন মামলা, নিজাম প্যালেসের বাইরে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ অজ্ঞাতপরিচয়ীদের বিরুদ্ধে

এবার নতুন মামলা, নিজাম প্যালেসের বাইরে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ অজ্ঞাতপরিচয়ীদের বিরুদ্ধে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নারদা মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তারের পরেই রাজ্যজুড়ে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়। রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়ককে গ্রেপ্তারের পর সিবিআই এর পক্ষ থেকে তাঁদের নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয়। ঠিক সেইসময় নিজাম প্যালেসের বাইরে শুরু হয় তৃণমূল কর্মী এবং অনুগামীদের জমায়েত।

পাশাপাশি অনেক অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দেখা যায় বলেও শোনা যাচ্ছে। আর তাই নিয়েই সিবিআই পাল্টা অভিযোগ তুলেছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে নিজাম প্যালেস এর বাইরে থাকা জমায়াতের সংঘর্ষও দেখা যায়। আর সিবিআই এর পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শাসকদলের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ করা হয়।

তবে এই জমায়েত বা হিংসা শাসকদল চায়না, তা দলের হেভিওয়েট নেতা ও মন্ত্রীদের আবেদনে পরিষ্কার। আর এবার অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর এবং করোনার সময় মহামারী আইন অগ্রাহ্য করে অবৈধ জমায়েত সহ একাধিক মামলা করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির 147,148,149 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টে  গতকালকের মত নারদা কান্ডের শুনানি শেষ হয়েছে। তবে এদিন সওয়াল-জবাব হয়েছে নিজাম প্যালেসের বাইরের বিক্ষোভ নিয়ে। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নিজাম প্যালেসের বাইরের বিক্ষোভকে উদাহরণ হিসেবে টেনে এনে নারদা মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি সিবিআই এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই নিজাম প্যালেস এর বাইরে হিংসা চলেছে। তবে হাইকোর্টের সওয়াল-জবাব যখন চলছে, তখন একদিকে যেখানে সেই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই অন্যদিকে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেও গড়িয়াহাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের বিরদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, করোনার সময় লকডাউন ভেঙ্গে আগাম নোটিশ ছাড়া কিভাবে রাজ্যের মন্ত্রীদের এবং বিধায়ককে গ্রেফতার করল সিবিআই? পাশাপাশি বলা হয়েছে, প্রত্যেকের বাড়িতে সিবিআই প্রায় 50 জনের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাজির হয়েছিল। যথারীতি কোনো শারীরিক দূরত্ব মানা হয়নি। যা চূড়ান্ত অনৈতিক বলে দাবি করেছে আজকে সরকারপক্ষের আইনজীবীরাও। সবমিলিয়ে টানটান উত্তেজনা রাজ্য রাজনীতিতে। মামলা, পাল্টা মামলার জেরে পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে আপাতত লক্ষ্য আগামীকাল হাইকোর্টে শুনানির পর গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের ভাগ্যে কি ঘটতে চলেছে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!