এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার পেগাসাস থেকে ত্রিপুরা একের পর এক বিষয় নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল হেভিওয়েট নেত্রী

এবার পেগাসাস থেকে ত্রিপুরা একের পর এক বিষয় নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল হেভিওয়েট নেত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গেলেও ইতিমধ্যেই যুব তৃণমূল সভাপতি হিসেবে জায়গা পেয়েছেন সায়নী ঘোষ। রাজনীতিতে পা দিতেই সায়নীকে প্রথমে আসানসোল দক্ষিণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী হন সায়নী এবং প্রার্থী হওয়ার পর তিনি উল্লেখযোগ্যভাবে নজর কেড়েছিলেন। যদিও এই লড়াই তিনি বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের কাছে হেরে গিয়েছেন। কিন্তু হেরে গেলেও সায়নীর মধ্যে যে একটি প্রতিবাদী চরিত্র কাজ করে, তা প্রবলভাবে সামনে এসেছে। এদিন আবারো সায়নীর সেই প্রতিবাদী চরিত্র সামনে উঠে এলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। কার্যত পেগাসাস ইস্যু নিয়ে যখন জাতীয় রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে, তখন এ রাজ্যে পেগাসাস নিয়ে সরব হলেন যুব তৃণমূল সভাপতি।

সায়নী ঘোষ এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে রীতিমতো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পেগাসাস নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। সায়নী দাবি করেন, এনএসওর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চল্লিশটি গভর্মেন্ট পেগাসাস সফটওয়্যারটি কিনেছিল। যার মধ্যে ইন্ডিয়া রয়েছে। আর তারপরেই তিনি নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কার্যত সায়নী অভিযোগ তোলেন, যারাই নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, তাঁদের ফোনেই পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে ভারত সরকার পেগাসাস সংক্রান্ত কোনো আলোচনা করতে চাইছেননা। তা নিয়েও কিন্তু জোরদার চর্চা চলছে জাতীয় রাজনীতিতে। কার্যত সংসদে এই নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

পার্লামেন্টে আলোচনা না করে বিল পাস করার ঘটনা নিয়েও সায়নী এদিন সরব হয়েছেন। তাঁর মতে, নরেন্দ্র মোদী অন্যান্য জায়গায় সময় খরচা করলেও সংসদে তিনি সময় কম দিচ্ছেন। যার ফলে মাত্র 14 মিনিটের মধ্যেই বিল পাস হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সায়নী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। একই সাথে সায়নী ঘোষ ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, একজন সাংসদকে নিরাপত্তা কেন দিতে পারেনি ভারত সরকার? পাশাপাশি সায়নীর দাবি, বর্তমানে সবাই তৃণমূলে চলে আসতে চাইছে। একই সঙ্গে তিনি গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, বিজেপিতে থাকা মানে নিজেদেরকে শেষ করে দেওয়া।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসে কখনো কোনো বাধা দেওয়া হয়না বা চাপ সৃষ্টি করা হয়না বলে তিনি জানান। অর্থাৎ তৃণমূল শিবিরে গণতান্ত্রিক অধিকারকেই যথেষ্ট মান্যতা দেওয়া হয় বলে সায়নী ঘোষ দাবি করেছেন। আর এরই সাথে তিনি দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের একজনই নেত্রী এবং তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরে দীর্ঘদিন ধরেই অন্তর্দ্বন্দ্বের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আর সেই অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে এবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন সায়নী ঘোষ। কার্যত সায়নীর দাবি, বিজেপি তৃণমূলের জেদ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ত্রিপুরা নিয়েও ব্যাপকভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সায়নী বলেন, যদি এ রাজ্যের শুধুমাত্র দুই থেকে তিনটি জেলার যুব কর্মীরা ত্রিপুরায় উপস্থিত হন, তাহলেই বিজেপির আর সেখানে কোনো অস্তিত্ব থাকবেনা। কার্যত বাংলা থেকে সায়নী ঘোষ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ত্রিপুরা তৃণমূলের অন্যতম লক্ষ্য বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই লক্ষ্যের দিকে নজর দিয়ে রাজ্য তৃণমূল যুব সভাপতি সায়নী ঘোষ বক্তব্য রেখেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কার্যত সায়নীর বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!