এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিপুল ভোটে জেতালেও আশাপূরণে ব্যর্থ বিজেপি? নিজের এলাকাতেই হেভিওয়েট সাংসদকে ঘিরে তুমুল ক্ষোভ

বিপুল ভোটে জেতালেও আশাপূরণে ব্যর্থ বিজেপি? নিজের এলাকাতেই হেভিওয়েট সাংসদকে ঘিরে তুমুল ক্ষোভ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন প্রায় দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে বাংলার। এই অবস্থায় শাসক-বিরোধী উভয়দলের পক্ষ থেকেই সাংগঠনিক প্রচার শুরু হয়েছে। আর এবার প্রকাশ্য সভায় মতুয়াদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। দীর্ঘদিন ধরেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে জলঘোলা চলছে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। আর এই প্রতিশ্রুতির ফলে বনগাঁ অঞ্চলের মতুয়াদের ব্যাপক ভোট পড়েছিল গেরুয়া ঝুলিতে। কিন্তু দীর্ঘ নয় মাস কেটে যাওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

আর তাই নিয়েই এবার বনগাঁ অঞ্চলের মতুয়াদের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রকাশ্যে মতুয়াদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন শান্তনু ঠাকুর। অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুরও নাগরিকত্ব আইন মতুয়াদের জন্য কার্যকর না হওয়ায় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ না করে পারেননি। রবিবার বারাসাতের মতুয়া সম্মেলন এসে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দ্রুত কার্যকর না হওয়ায় আগামী দিনে মতুয়ারা কোন পথে চলবে তার সিদ্ধান্ত তাঁরা নিজেরাই নেবেন। এরপরেই শান্তনু ঠাকুরের প্রকাশ্যে করা এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। গেরুয়া শিবিরেও শান্তনু ঠাকুরের উক্তি ঘিরে শুরু হয়েছে জোরদার গুঞ্জন। অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শাসক শিবির থেকেও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অনেকেই।

শাসক শিবিরের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার মতুয়াদের ভোট পাওয়ার জন্য নাগরিকত্ব দেওয়ার যে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা এতদিনে পরিষ্কার বুঝেছেন শান্তনু ঠাকুর। প্রসঙ্গত 2019 সালের ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব আইন লোকসভা ও রাজ্যসভার পাস হয়েছিল। এবং এই বিল নিয়ে দেশজুড়ে চূড়ান্ত বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কিন্তু আইনে রূপান্তরিত হলেও রাজ্যে এখনও পর্যন্ত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হয়নি। ফলে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে গেলে খুব স্বাভাবিকভাবেই মতুয়ারা প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি সাংসদ এর কাছে। অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব আইন হবার পরেও কার্যকর না হওয়ায় মতুয়ারা চূড়ান্ত ক্ষিপ্ত। বারেবারে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে সাংসদকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে আসাম বাদ দিয়ে দেশে কোন রাজ্যে এখনও পর্যন্ত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হয়নি। এদিকে রাজ্যে আসছে বিধানসভা নির্বাচন। তাই বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালেও যদি নাগরিকত্ব আইন মতুয়াদের জন্য কোন সুবিধা না নিয়ে আসতে পারে, তাহলে মতুয়ারা নিজেরাই ঠিক করবেন তাঁরা কোন পথে যাবেন। অন্যদিকে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, বিজেপির নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি একেবারেই ভাঁওতাবাজি। মতুয়া সম্প্রদায়কে নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করেছে এবং লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের বোকা বানিয়েছে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তবে শান্তনু ঠাকুরকে তাঁর কটাক্ষ, দেরীতে হলেও বনগাঁর বিজেপি সাংসদ এটা বুঝেছেন।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করতে গেলে রাজ্যে এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবির বিপাকে পড়তে পারে। কারণ মতুয়াদের পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্যরাও এই আইনের অন্তর্ভুক্ত হবেন। যথারীতি ভোটবাক্সে এর ছাপ পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার মতুয়াদের নাগরিকত্ব না দেওয়া হলে তাঁরা এবার কোন দিকে যাবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা নিয়ে পরিস্থিতি রীতিমত জটিল। আপাতত বিজেপির মতুয়া সাংসদের ক্ষোভ কি করে সামলানো যাবে, তা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!