এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার প্রশাসনিক বৈঠকে জোর ধমক খেলেন জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও মৎস‍্য দপ্তর

এবার প্রশাসনিক বৈঠকে জোর ধমক খেলেন জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও মৎস‍্য দপ্তর


2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। কারণ শাসকদলের সাথে পাল্লা দিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চে ওঠে বিরোধী দল বিজেপি। সামনেই 2021 বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে এবার মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল দল। ইতিমধ্যে তৃণমূল ভোটকৌঁশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছে তাদের ভোটব্যাংক সুরক্ষিত করতে। আর প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ অনুযায়ী একের পর এক প্রশাসনিক বৈঠক ডেকে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন।

গঙ্গারামপুরের বৈঠকে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসককে মুখ্যমন্ত্রী তীব্র ভৎসনা করলেন এদিন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জমা পড়েছে এই জেলায় কাজ কম হয়েছে। সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে কড়া ভাষায় কথা শোনান। শুধু তাই নয়, মৎস্য দপ্তরকেও তীব্র ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ হিসেবে ‘জল ভরো জল ধর’ প্রকল্পে ইতিমধ্যে পুকুর কাটা হয়েছে কিন্তু টেন্ডার আটকে থাকার জন্য তাতে মাছ ছাড়া হয়নি। মৎস্য দপ্তরের কাছে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন তিনবার কেন টেন্ডার বাতিল হয়েছে? মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে মৎস্য দপ্তরের অফিসাররা। প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন আগামী 25 তারিখের মধ্যে ‘জল ভরো জল ধরো’ পরবর্তী কাজ শুরু হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর মুখ্যমন্ত্রী জেলা পুলিশ সুপারকে কিছু কিছু বিষয়ে নজর দিতে বলেন। যেরকম বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুরে পথ দুর্ঘটনার পরিমাণ বেড়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী বাড়তে থাকা দুর্ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারকে সতর্ক করেন। এছাড়া জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এই জায়গায় অত্যন্ত বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলে, যার ফলে আকছার দুর্ঘটনা ঘটে। প্রসঙ্গত গত 29 অক্টোবর রাতে বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারের ছেলে কুনালের। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন যেসব জায়গা গুলি জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা, সেগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে এবং সেখানে স্পিড লিমিট রাখতে হবে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ এর জোরদার প্রচার চালানোর জন্য।

বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের উপর উন্নয়নের জোর দিয়েছেন। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরে গিয়েও তিনি একইভাবে উন্নয়ন ইস্যুতে কথা বললেন। কিন্তু উন্নয়নে জোর দিলেও দলীয় স্তরের যে ভাঙ্গন দেখা গেছে, তার ফল লোকসভা ভোটের ফলে প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, তৃণমূল নেতৃত্ব বিধানসভা ভোটের দিকে নজর রেখে যেভাবে কড়াভাষায় দলীয় নির্দেশ দিচ্ছেন প্রশাসনিক বৈঠকে তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। আপাতত উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে 2021 এর বিধানসভা ভোটে। সেদিকেই নজর রেখে উন্নয়নের কাজে মনোনিবেশ করেছে শাসকদল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!