এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা শোনা গেল অনুব্রতর গলায়, জেনে নিন কারণ

এবার রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা শোনা গেল অনুব্রতর গলায়, জেনে নিন কারণ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল 42 এ 42 টি আসন পাবে বলে দাবি করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনকি এটা না হলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে ভোটের ফলাফলে তৃনমূল মুখ থুবরে পড়েছে। যেখানে 22 টি আসন দখল করতে দেখা গেছে ঘাসফুল শিবিরকে। যার ফলে অতীতে করা তার বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল না থাকায় কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।

কিন্তু আবার আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভবিষ্যদ্বাণী করে শোরগোল তুলে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। সূত্রের খবর, এদিন কেতুগ্রামের সভা থেকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। যেখানে তিনি দাবি করেন, যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল 220 টা আসন না পায়, তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।

স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্যে এখন ব্যাপক পরিমাণে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এর আগে অনুব্রত মণ্ডল লোকসভা নির্বাচনের সময় একথা বলেছিলেন।  কিন্তু বাস্তবে তা পূরণ হয়নি, এমনকি তাকেও রাজনীতি ছাড়তে দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যখন বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের জোর টক্কর হবে বলে মনে করা হচ্ছে, তখন অনুব্রত মণ্ডলের এই ধরনের দাবি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন কেতুগ্রামে একটি জনসভা করেন অনুব্রত মণ্ডল। যেখানে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় তাকে। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, “যদি বিজেপি সোনার বাংলা তৈরি করতে পারে, তবে সোনার ভারত কেন হল না! কেন এভাবে হেনস্থা মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষক, দরিদ্র মানুষকে? প্রয়োজনে রক্তগঙ্গা বইবে। কিন্তু বাংলায় এনআরসি হতে দেওয়া যাবে না। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল 220 টি আসন না পেলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কারণ সকলেই জানেন, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে রয়েছে।”

এদিকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রশংসা করে তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন অনুব্রত মণ্ডল। পাশাপাশি দলত্যাগী নেতাদের কটাক্ষ করতে দেখা যায় তাকে। তিনি বলেন, “নেতারা নয়। কর্মীরাই শেষ কথা। তাই যে নেতারা দল ছাড়তে চান, ছেড়ে দিন। তাতে কোনো সমস্যা নেই। কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে রয়েছেন।” অর্থাৎ একদিকে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কথা যেমন তুলে ধরলেন অনুব্রত মণ্ডল, ঠিক তেমনই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে দেখা গেল তাকে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুব্রত মণ্ডলের এদিনের ছোড়া চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে ভবিষ্যতের জন্য। কেননা এর আগেও লোকসভা নির্বাচনের সময় এরকম একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তবে বাস্তবে তা পূর্ণ হয়নি। যার পরে বিরোধীদলের পক্ষ থেকে কেন অনুব্রত মণ্ডল এখন রাজনীতি ছাড়ছেন না, কেন তিনি নীরব রয়েছেন, এই রকম প্রশ্ন করে তাকে কটাক্ষ করা হয়েছিল।

যার প্রত্যুত্তরে অনুব্রতবাবু জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভোটের আগে অনেকেই অনেক কথা বলে। আর এবার 220 টি আসন তৃণমূল কংগ্রেস না পেলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে যে দাবি করলেন, তা কি কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করার জন্য, নাকি বাস্তবেই তিনি এরকম ঘটনা না ঘটলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে এবারে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই যে জোরদার হতে চলেছে, তা ভালোই বুঝতে পারছেন সকলে। আর তাই বিজেপির হওয়াকে ফিকে করতে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের উজ্জীবিত করার জন্য এই ধরনের মন্তব্য করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তবে তার এই মন্তব্য কতটা বাস্তব হয়, তা ভোটবাক্স খোলার পরই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!