এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > এবার রাজনৈতিক হিংসার শিকার বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী, ব্যাপক চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

এবার রাজনৈতিক হিংসার শিকার বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী, ব্যাপক চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে প্রায়দিনই রাজনৈতিক হিংসার খবর সামনে উঠে আসছে সৌজন্যে গেরুয়া শিবির। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার সর্বত্র রাজ্য গেরুয়া শিবিরের নেতারা অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। তারমধ্যে এবার আরও একটি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা সামনে এলো। ঘটনাটি ঘটেছে বাগনান এলাকায়। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এলাকার যুব মোর্চার মণ্ডল সহ-সভাপতি মিঠুন চক্রবর্তীর ওপর এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা।

অন্যদিকে আহত বিজেপি নেতাকে দেখতে গিয়ে আজকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, আহত বিজেপি নেতাকে প্রথমে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পরে সেখান থেকে তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে গত 11 তারিখে বাড়ি ফিরেছিলেন বাগনানের বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বের হবার পর থেকেই তিনি ছিলেন ঘরছাড়া। বাড়ি ফিরে তিনি অসুস্থ বাবাকে দেখতে গিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখান থেকে ফেরার পথে রাস্তায় তাঁর ওপর চড়াও হয় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। এরপর তাঁকে রীতিমত গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। বাগনান থানার পুলিশ এসে মিঠুনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে খবর। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ জানিয়েছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে যে হলফনামা দেওয়া হয় সেখানে রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে কোনো কথা বলা হয়নি। এর পাশাপাশি তিনি নিজেও যে দু তারিখে ফলাফল প্রকাশের দিন রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছিলেন সেকথা জানাতে ভোলেননি।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী এদিন হাসপাতালে দলীয় নেতাকে দেখতে গিয়ে তাঁকে চিকিৎসাসংক্রান্ত আর্থিক সাহায্য করেছেন। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে এই ঘটনা নিয়ে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য বিদ্যমান। খুব স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় তৃণমূল এবং বিজেপির চাপানউতোর অব্যাহত। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, যেকোনো রাজনৈতিক হিংসা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সেক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা যাতে বন্ধ হয়, তার জন্য এবার প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!