এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > এবার রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে গুলি করে মারা উচিত বলে মন্তব্য করে বিতর্কে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা

এবার রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে গুলি করে মারা উচিত বলে মন্তব্য করে বিতর্কে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা

রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিভিন্ন বক্তব্য ইতিমধ্যে বিতর্কের শিরোনামে। বিতর্ক নতুন করে দানা বাঁধে দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে। দেশজুড়ে চলছে এন আর সি ও সিএএ এর বিরুদ্ধে লড়াই। এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিদান দেন, সিএএ এর বিরোধিতা করতে গিয়ে যারা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছেন, তাঁদের গুলি করে মারা উচিত। এই বক্তব্যটি সামনে আসার পরেই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। অন্যদিকে, তাঁর নিজের দল বিজেপির অন্দরেও এই বক্তব্য ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ রানাঘাটের একটি সভা থেকে বক্তব্য রাখেন, যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে সিএএ এর আন্দোলন করতে গিয়ে, তাঁদের কুকুরের মত গুলি করে মারা উচিত। আর এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। শুধু নিজের দল বলে নয়, বিরোধী দলেরও তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েন এদিন দিলীপ ঘোষ। এবার দিলীপ ঘোষের প্রতি রীতিমত তীব্র ক্ষোভ উদ্গীরণ করে বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল স্পষ্ট করে এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি কে উল্লেখ করে বলেন, “আগে দিলীপ ঘোষকে গুলি করে মারা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।”

সম্প্রতি নদীয়ার রানাঘাটে সিএএ এর সমর্থনে একটি সভা থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “অসম, উত্তরপ্রদেশে আমাদের সরকার এই শয়তানদের কুকুরের মতো গুলি করে মেরেছে । তুলে নিয়ে গিয়ে কেসও দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।” এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, ”এখানে আসবে, থাকবে, খাবে আবার সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করবে! আমরা এলে লাঠি মারব, গুলি করব, জেলে পাঠাব। মমতা ব্যানার্জির কোনও মুরোদ নেই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্য বিজেপি সভাপতির এই কথার প্রতিবাদ করতে বাবুল সুপ্রিয় তড়িঘড়ি একটি টুইট করে বলেন, “দিলীপদা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত কথা বলেছেন।” তিনি আরও জানান,”দিলীপদা যা বলেছেন তার জন্য বিজেপির কিছু করার নেই। এটি দিলীপদার ভ্রান্ত ধারণা। অসম, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি যে কোনও জায়গায় বিজেপি সরকার কখনও, কোনওদিনই এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।” বাবুল সুপ্রিয় এর বক্তব্যের পরেই দিলীপ ঘোষ তার পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, “আমি দলের স্ট্যান্ড মেনেই কথা বলেছি।”

অন্যদিকে, এদিন নানুরে এন আর সি ও সিএএ এর বিরোধিতা একটি সভা করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সেই সভার থেকে অনুব্রত মণ্ডল রাজ্য বিজেপির সভাপতির এই মন্তব্যকে ঘিরে তাঁর বিরুদ্ধে বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত দিলীপ ঘোষকে আগে গুলি করে মারা। যদি প্রথম কেউ সম্পত্তি নষ্ট করে থাকে, তাহলে সে হচ্ছে দিলীপ ঘোষ।”

ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপি সভাপতির মন্তব্যকে ঘিরে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। শুধু তাই নয়, তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে কেন্দ্রীয় মহলেও যথেষ্ট অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বারংবার যদি এভাবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিতর্কিত মন্তব্য করতেই থাকেন, তাহলে রাজ্য রাজনীতিতে তার প্রভাব কিছুটা হলেও পড়বে। তবে আপাতত রাজ্য বিজেপির সভাপতির বক্তব্য ঘিরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাই এই মুহূর্তে কৌতুহলী হয়ে রাজনৈতিক মহলের অপেক্ষা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় তা দেখার জন্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!