এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার রাজ্যপালকে সুরমা ভোপালি বলে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল হেভিওয়েটের, বিতর্ক তুঙ্গে

এবার রাজ্যপালকে সুরমা ভোপালি বলে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল হেভিওয়েটের, বিতর্ক তুঙ্গে

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শোলে সিনেমা যারা দেখেছেন, তাঁদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি চরিত্র হল সুরমা ভোপালি। যে চরিত্রটিকে দেখা যায় সিনেমায় ক্রমাগত জেলারের সঙ্গে যোগসাজশ করতে। এবার সেই চরিত্রকে সামনে এনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ব্রাত্য বসু তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। গতকাল থেকেই রাজ্যপাল এবং রাজ্য প্রশাসনের বৈরিতা নতুন মাত্রা পেয়েছে।

প্রসঙ্গত গতকাল জিটিএ অডিট নিয়ে প্রকাশ্যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল। ঠিক তারই পরিপ্রেক্ষিতে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, হাওয়ালা জৈন কান্ডে নাম রয়েছে জগদীপ ধনকরের। আর তাই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় তোলপাড়।

যদিও জগদীপ ধনকর বিকেলেই রাজভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। কিন্তু তৃণমূল ছাড়ার পাত্র নয়।  আবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্যপালকে আবারও একহাত নিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।

তৃণমূলের তরফ থেকে ব্রাত্য বসু এ দিন তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, শোলে সিনেমাতে যেমন সুরমা ভোপালিকে দেখা গিয়েছিল সারাক্ষণ হম্বিতম্বি করতে, ঠিক সেরকমই রাজ্যপালকেও একই চরিত্রে দেখা যায়। পাশাপাশি শুখেন্দু শেখর রায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রসঙ্গত বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে ব্যাপক প্রতিঘাত চলে রাজ্য প্রশাসনের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত কয়েকদিন যাবৎ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। কার্যত তৃণমূলের অভিযোগ রাজ্যপাল বরাবরই গেরুয়া শিবিরের নির্দেশে কাজ করেন। ইতিমধ্যেই বহুবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে জগদীপ ধনকরের পরিবর্তন চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। কিন্তু গতকাল মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে হাওয়ালা জৈন মামলার চার্জশিটে জগদীপ ধনকরের নাম থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাতে রাজ্যপাল পরিবর্তনের দাবী যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রাজ্যপাল গতকাল জানিয়েছিলেন, চার্জশিটে কোথাও তাঁর নাম ছিলনা।

কিন্তু তৃণমূল আজকে পাল্টা দাবি করেছে, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান অর্ধসত্য বলছেন। বারংবার রাজ্যপাল সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করেন রাজ্য সরকারকে যেকোনো বিষয়ে আক্রমণ করতে। ঠিক একইভাবে জিটিএ নিয়েও রাজ্যপাল অডিটের কারচুপির অভিযোগ করেছেন। আর তা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছে তৃণমূল।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুরমা ভোপালি মন্তব্য কার্যত কতটা ঠিক, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, একজন সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে এ ধরনের কথা কি বলা যায় অনায়াএ? আপাতত এই ঘটনার রেশ যে বহুদূর গড়াবে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!