প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে রাজ্য সরকারের অম্ল মধুর সম্পর্ক রয়েছে। রাজ্য সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগের কাঠগড়ায় বহুবার তুলেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে বহুবার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সম্প্রতি রাজ্যপাল বলেছিলেন যে, এ রাজ্যের মানুষ অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট দেখতে ইচ্ছুক। রাজ্যে অবাধে ভোটের আয়োজন হতে না পারা গণতন্ত্রেরই লজ্জা। রাজ্যের নির্বাচনের বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের এই তীক্ষ্ণ মন্তব্যের পর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এক হাত নিলেন একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব।

তৃণমূল দলের সাংসদ ও মুখপাত্র সৌগত রায় রাজ্যপালের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে বললেন যে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বিজেপি দলের হলেই নিজের কার্য পরিচালনা করছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান যে, দেশে নির্বাচন কমিশন আছে, আছে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী। দেশজুড়ে ভোটের আয়োজন করে তারাই। রাজ্যপাল রাজভবন থেকে কখনোই ভোটের অনুষ্ঠান করাতে পারেন না। এই ক্ষমতা রাজ্যপালের নেই। রাজ্যপাল সম্পর্কে তাঁর তীব্র অভিযোগ, রাজ্যপাল নিজের চেয়ারকেই অসম্মান করছেন।

তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যপাল সবসময় বলে থাকেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কিছুই কাজ করছেন না। এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। এ বিষয়ে তাঁর অভিযোগ, বিজেপি নেতারাও সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না। রাজ্য সরকারের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করে বিজেপির মনোবল বৃদ্ধি করছেন রাজ্যপাল। এভাবেই রাজ্যপালের তীব্র বিরোধিতা করলেন সাংসদ।

রাজ্যপালের প্রতি সাংসদের এই বিরূপ মন্তব্যের পর রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ” রাজ্যপাল নির্বাচন নিয়ে কেন বলছেন সেটা বুঝতে পারছি না। এইসব বলে কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টার কোনো অর্থ হয় না। নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা দিয়ে বলছি এই দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।”

অন্যদিকে সম্প্রতি রাজ্যপাল রাজ্যের পুলিশ সম্পর্কে নানা অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের উত্তরে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানালেন যে, রাজ্য সরকারের সব সময় প্রয়োজন হয় পুলিশের। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ একদিকে যেমন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করছে, তেমনি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহায়তাও করছে পুলিশ। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের অভিযোগ অমূলক।

আবার কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকারও রাজ্যের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যপালের মন্তব্যের বিরোধিতা করলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, ” বাংলায় অবাধ ভোট করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। রাজ্যপালের এই বক্তব্যকে মানতে পারছিনা।”