প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাওড়া জেলা তৃণমূলের অন্দরে তৃনমূলের অস্বস্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বৈশালী ডালমিয়া থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। আর এরই মাঝে বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো থাকা হাওড়া পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীর বিজেপিতে যোগের জল্পনা তীব্র হয়ে উঠতে শুরু করল।

একাংশ বলছেন, আগামী 31 জানুয়ারি অমিত শাহের সভা থেকে হাওড়া জেলার তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। আজ কিছুক্ষণ আগেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগের জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার রথীন চক্রবর্তীর মন্তব্য আলোড়ন সৃষ্টি করল রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয় হাওড়া পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে। আর এই ব্যাপারে জল্পনা বাড়িয়ে দেন তিনি। রথীনবাবু বলেন, “সম্ভাবনা উড়িয়ে দেব না। যা করলে মানুষের সেবা করার সুযোগ পাব, সেটাই করব। তবে নতুন পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।” তাহলে কি তিনি অমিত শাহের থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নিচ্ছেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, “সময় বলবে বিজেপির পতাকা হাতে নেব কিনা! তবে একটাই কথা বলব, যা করব মানুষের কথা ভেবে করব। সকলের স্বার্থে করব। তৃণমূলে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” পর্যবেক্ষকরা বলছেন, হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতার মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক রাখবেন না। তবে তার পরবর্তী পথ বিজেপি কিনা, সেই ব্যাপারে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে।

বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, এই মুহূর্তে বিজেপিতে যোগদান করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই রথীন চক্রবর্তীর কাছে। কেননা বর্তমানে বিজেপি তৃণমূলের বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত। দিনকে দিন রাজ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে শুরু করেছে। শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা এখন গেরুয়া শিবিরে। আর তারপর থেকেই হাওড়া জেলার একাধিক নেতার গলায় বেসুরো মন্তব্য শোনা যেতে শুরু করেছে।

ইতিমধ্যেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলবদলের জল্পনাকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে রথীন চক্রবর্তীর এই ধরনের মন্তব্য অমিত শাহের সভা থেকে নতুন দলে যোগদানের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।