এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এবার শিশু পাচারের ঘটনায় স্কুলের যোগ, সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

এবার শিশু পাচারের ঘটনায় স্কুলের যোগ, সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাড়ি থেকে যখন কোনো শিশু স্কুলে যায়, তখন অভিভাবকরা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করতে থাকেন স্কুলের শিক্ষিকা বা অধ্যক্ষের ওপর। কিন্তু শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকা এবং অধ্যক্ষ নিজেরাই যদি শিশু পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে অভিবাবকদের ভরসার আর কোনো জায়গা থাকেনা। কার্যত এরকমই একটি ঘটনা সামনে এলো বাঁকুড়ায়। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়া শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি এই ঘটনায় অধ্যক্ষের সঙ্গে আরও 7 শিক্ষক-শিক্ষিকা যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, অধ্যক্ষ এবং ধৃত এক শিক্ষিকার বাড়ি থেকে মোট 5 জন শিশু উদ্ধার হয়েছে। এই পাঁচজনই শিশু কন্যাসন্তান বলে জানা যাচ্ছে।

আপাতত এই ঘটনা সামনে আসায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শিশুগুলিকে উদ্ধার করার পর পুলিশ খতিয়ে দেখছে তাঁদের অন্য কোথাও পাচার করা হচ্ছিলো কিনা! আপাতত এই শিশু পাচার কাণ্ডে অধ্যক্ষসহ তিনজনকে 7 দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং বাকি পাঁচ ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন একই স্কুলের শিক্ষিকা সুষমা শর্মা। আট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে তিনজন মহিলা বলে জানা যাচ্ছে, অন্যদিকে সামনে এসেছে আরও একটি ঘটনা। কার্যত দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট এর মেনগেট এলাকা থেকে 7 দিন আগে নয় মাসের একটি শিশু সন্তানকে নিয়ে আসা হয়।

ওই শিশুটিকে শিক্ষিকা সুষমা শর্মার কাছে কমলকুমার রাজোরিয়া বিক্রি করে দেন বলে জানা গিয়েছে। সুষমা শর্মা নিঃসন্তান ছিলেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে শিশুগুলি উদ্ধার হওয়ার পর এখন প্রশ্ন উঠেছে, এই শিশুগুলিকে কিভাবে পাচার করা হতো তাই নিয়ে। নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়া আদতে রাজস্থানের বাসিন্দা। তাই সেখানেও শিশু পাচার করার প্ল্যান ছিল বলে পুলিশ মনে করছে। অন্যদিকে এই শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে এলাকারই একজন চায়ের দোকানীর বিরুদ্ধে। মূলত ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে এই চায়ের দোকানী লিংক ম্যান হিসেবে কাজ করতেন বলে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে নবোদয় বিদ্যালয়ের স্কুলের পাশে বাঁকুড়া পুরুলিয়া জাতীয় সড়কের ওপর একটি মারুতি ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় যেখানে দুটি শিশুকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন কমলকুমার রাজোরিয়া। মারুতি ভ্যানের ভেতরেও দুজন মহিলা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত সন্দেহজনকভাবে চোখে পড়ে কালপাথর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুব্রত সাহানার। তিনি চিৎকার করতে শুরু করেন। যথারীতি তাঁর চিৎকারে স্থানীয় বেশকিছু মানুষ ছুটে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কমলকুমার রাজোরিয়া পালিয়ে যান। কিন্তু গাড়ির ভেতরে থাকা দুজন মহিলা এবং মোট 4 জন শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। তাঁদের অসংলগ্ন জবাব সন্দেহ বাড়িয়ে তোলে।

এরপর পুলিশের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে, আর সেখানেই স্থানীয়রা দাবি তোলে শিশু পাচারকারী হিসাবে ওই অধ্যক্ষকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে বলে। এমনকি জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশ তাঁদের অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেয় এবং পরে পুলিশ অভিযুক্ত অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়াকে বাঁকুড়া সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যা‍য়। আর সেখানেই ধরা পড়ে এই বিশাল বড় শিশু পাচার চক্র। একে একে শিক্ষক শিক্ষিকাদেরো ঘটনায় যুক্ত থাকার দরুণ গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার পেছনে আর কার কার হাত আছে, তাই নিয়েই এখন পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। পাশাপাশি শিশুগুলিকে কোথায় কাদের হাতে পাচার করার পরিকল্পনা হচ্ছিল, তা নিয়েও শুরু হয়েছে তদন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!