এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার স্বয়ং মোদীর বিরোধিতায় সুর তীব্র হচ্ছে গেরুয়া শিবিরে? হেভিওয়েটের মুখ খোলা নিয়ে জল্পনা!

এবার স্বয়ং মোদীর বিরোধিতায় সুর তীব্র হচ্ছে গেরুয়া শিবিরে? হেভিওয়েটের মুখ খোলা নিয়ে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রতি বছর সাধারণত এপ্রিল-মে মাসের সময়ে সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এবং সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা বা নিট ইউজি পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছরের দেশে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতার কারণে এপ্রিল-মে মাসের পরিবর্তে প্রথমে গত জুলাই মাসে পরীক্ষা গুলি নেয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কোন উন্নতি না ঘটায় পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ১- ৬ তারিখের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ১৩ ই সেপ্টেম্বর নিট ইউজি পরীক্ষাপরীক্ষা নেওয়া হবে।

কিন্তু সম্প্রতি দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে ইতিপূর্বে যা ৩৪ লক্ষ্যের গণ্ডি অতিক্রম করেছে আর করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬২ হাজার এর বেশী মানুষের। দেশের ভয়ঙ্কর এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশজুড়ে এরকম সর্বভারতীয় পরীক্ষা নেওয়া কতটা সমীচীন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন বিরোধী দল। গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও সেইসঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বভারতীয় এই পরীক্ষাগুলি স্থগিত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ দাবি জানিয়েছেন।

কিন্তু প্রধান মন্ত্রী বিশেষ কোনো সাড়া দেননি। এরপর পরীক্ষা স্হগিত রাখতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সর্বভারতীয় পরীক্ষার বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। প্রধানমন্ত্রীকেও এ বিষয়ে একহাত নিলেন তিনি।

এর কিছুদিন আগেই দেশের এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশে সর্বভারতীয় পরীক্ষা গ্রহণের যোক্তিকতা সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ” সরকার কি এটা বুঝতে পারছে যে এই পরিস্থিতি পরীক্ষা নেওয়ার অর্থ অর্থবান পরীক্ষার্থীদের সুবিধা করে দেওয়া? কারণ করোনা পরিস্থিতিতে গত পাঁচ মাস দেশের অসংখ্য গরিব পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করতে পারেনি।” সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে তার এই টুইটের পর এই দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে তিনি টুইট করলেন। প্রধানমন্ত্রীকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলে তিনি লিখলেন, “ প্রধানমন্ত্রী শিক্ষিতদের থেকে পরামর্শ নিতে চান না ”।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ার টুইটারে টুইট করে বিজেপি রাজ্যসভার সংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর প্রধানমন্ত্রীর প্রতি লিখেছেন, ” শিক্ষাগত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শদাতাদের আরও নির্ভরযোগ্য হতে হবে। মোদী সবসময় বাজে পরামর্শ পেয়ে থাকেন। আমি ৫০ বছর ধরে হাভার্ড ও দিল্লি আইআইটি’তে অধ্যাপনা করেছি। কিন্তু তিনি কখনও আমার সঙ্গে পরামর্শ নেন না। ”

রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দেশে করোনা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে সর্বভারতীয় পরীক্ষা গ্রহণের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলের জরুরি পরিস্থিতি নাসবন্দীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, জরুরি পরিস্থিতি নাসবন্দীর প্রয়োগ করার ফলে পরবর্তী নির্বাচনে পরাজিত হতে হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীকে।

সম্প্রতি দেশের করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সর্বভারতীয় পরীক্ষা গ্রহণের এরকম একতরফা সিদ্ধান্ত নিলে আগামী নির্বাচনে ফল ভুগতে হতে পারে প্রধানমন্ত্রীকে।বিরোধীদের পর খোদ বিজেপির রাজ্যসভার সংসদের এই মন্তব্যে ব্যাপক শোরগোল পরে গেছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!