এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার শ্মশান সংস্কার নিয়ে তৃণমূলের প্রশাসকের সঙ্গেই তীব্র বিবাদ হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রীর!

এবার শ্মশান সংস্কার নিয়ে তৃণমূলের প্রশাসকের সঙ্গেই তীব্র বিবাদ হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রীর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন কিছুতেই কমছে না। এবার তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসকের সঙ্গেই কোচবিহারের রবীন্দ্রনাথ রায় মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি নিয়ে বিবাদ তৈরি হল রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে প্রশাসন এবং তৃণমূলের অন্দরমহলে।

জানা গেছে, কোচবিহারের এই রবীন্দ্রনাথ রায় মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি দীর্ঘদিন ধরেই অচল অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে তার সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর। তবে এই কাজ অনেকদিন ধরে চলা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত তা সম্পন্ন হয়নি বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আর এই অভিযোগ করেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কোচবিহার পৌরসভা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে কাজ শেষ হতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। বলা বাহুল্য, রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃনমূলের হেভিওয়েট নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাই তার সাথে কোচবিহার পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক ভূষণ সিংয়ের তরজা চরম আকার ধারণ করেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান তৃণমূলের ভূষণ সিং বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী আমাকে শশ্মান নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে নিষেধ করেছেন। পৌরসভার শ্মশান, অথচ তা নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না। সকলেই জানেন, এই শশ্মান পৌরসভার অধীনে। তাই সেখানে বৈদ্যুতিক চুল্লির কাজ শেষ না হওয়ার জন্য মানুষ আমাদের দায়ী করছে। বহুদিন আগেই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে কথা বলে তা উন্নয়নের জন্য নিয়েছিলেন। পৌরসভার হাতে থাকলে এই কাজ অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই ব্যাপারে পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “এই সপ্তাহে নির্মাণকারী সংস্থা চুল্লি হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছে। তারপর দুদিন ট্রায়ালের জন্য সময় লাগবে। আশা করছি, আগামী শনিবারের মধ্যে দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল। আমাকে দেরি করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। লকডাউন না হলে অনেক দিন আগেই এর কাজ শেষ হয়ে যেত। এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। তবুও আমার দপ্তর কাজটি করেছে।”

জানা গেছে, এই কাজের জন্য প্রায় 1 কোটি 70 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে যেভাবে কোচবিহার পৌরসভা তৃণমূলের দখলে থাকায় এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থাকা সত্ত্বেও যেভাবে দুই বিভাগের দুই প্রধান একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করলেন, তাতে নিঃসন্দেহে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে রয়েছে।

তাই এই পরিস্থিতিতে শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি নিয়ে যেভাবে কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক এবং রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মধ্যে বিবাদ শুরু হল, তাতে শাসক দল এবং রাজ্য প্রশাসন উভয়য়েই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কবে উদ্বোধন হয় এই বৈদ্যুতিক চুল্লির, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!