এবার তদন্ত করতে পলিশদেরকেও জেরা করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা – জোর জল্পনা রাজ্যে কলকাতা রাজ্য November 5, 2019 সারদা থেকে নারদা প্রায় প্রতিটি ঘটনাতেই আর্থিক কেলেঙ্কারির যোগসুত্র রয়েছে। আর সেখানেই রাজ্যের শাসক দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে বিরোধীরা। শাসক দলের পক্ষ থেকে বারংবার সেই অভিযোগ খারিজ করে দিলেও তদন্তের বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজ্যের শাসক দল থেকেই হাজির দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে। সম্প্রতি আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে শাসক শিবির চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় পড়েছিল। কারণ একের পর এক হেভিওয়েট নেতার সিবিআইয়ের অফিসে বারেবারে হাজিরা দেওয়ায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবার রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি পুলিশকেও জেরা করতে চলেছে। সারদা-কাণ্ড ধরা পড়ার পরে একের পর এক দুর্নীতিপূর্ণ স্কিমের কথা প্রকাশ হতে থাকে। আর সেভাবেই প্রকাশ হয় রোজভ্যালির কথা। সেসময় রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুন্ডু গ্রেপ্তার হন। তদন্তে নেমে রোজভ্যালি আধিকারিকদের থেকে তদন্তকারী অফিসাররা জানেন, নিউ টাউনে রোজভ্যালির কেনা 280 বিঘা জমির মধ্যে 80 বিঘা জমি বেদখল হয়ে যায় গ্রামবাসীদের হাতে। সেটি নিয়ে রোজভ্যালি আধিকারিকরা একটি জেনারেল ডায়েরি করে বিধান নগর নিউটাউন থানায়। পরে সেটি এফআইআরে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু রোজভ্যালি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের রিপোর্টের সঙ্গে রোজভ্যালি কর্তাদের বয়ান মিলছেনা। আর তাতেই সমস্যায় পড়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সূত্রের খবর, রোজভ্যালির পক্ষ থেকে যে জমি সংক্রান্ত এফআইআরের কথা বলা হচ্ছে তা পুলিশের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। যে সময় রোজভ্যালির আধিকারিকরা জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে জেনারেল ডায়েরি করেন, সে সময় ওই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন প্রভাকর নাথ। সূত্রের খবর, ইডির তরফ থেকে প্রভাকর নাথকে ফোন করে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু প্রভাকর নাথ বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে জানান, এমন কোনো অভিযোগ হয়নি। হলেও তিনি মনে করতে পারছেন না। পরবর্তী সময়ে তিনি জানান, রোজভ্যালি কর্তারা মিথ্যাচার করছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই ঘটনায় ইডি নিতান্তই সমস্যায় পড়েছে। কে সত্যি বলছেন তা নিয়ে তাঁরা নিজেরাই ধন্দে। এদের প্রশ্ন, যদি রোজভ্যালির কর্তারা 80 বিঘা জমি জবর দখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে থাকেন, তবে পুলিশ এত সময় কেন তা তদন্ত করেনি? প্রশ্নের উত্তর পেতে এবার তদন্তকারী সংস্থা পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ওই সময় যিনি আইসি এবং তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন, তাঁদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে। রোজভ্যালি কাণ্ডে ইডি-এর এই পদক্ষেপে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রোজভ্যালি কাণ্ডে ইডির এই পদক্ষেপে যদি প্রশাসন স্তর থেকে সঠিক ভাবে সাহায্য করা হয়, তাহলে রোজভ্যালি কাণ্ডের পেছনে কে বা কারা রয়েছেন, তা সামনে আসবে। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি রোজভ্যালি কাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ইতিমধ্যে অনেক হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব ইডির নজরে আছেন। আপাতত দেখার ইডির পরবর্তী পদক্ষেপে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন কিভাবে তাদের সাহায্য করে। আপনার মতামত জানান -