এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিজেপি নয় এবার শাসকদলে বড়সড় ভাঙ্গন ধরিয়ে ঘুম ওড়াল বামফ্রন্ট – জানুন বিস্তারিত

বিজেপি নয় এবার শাসকদলে বড়সড় ভাঙ্গন ধরিয়ে ঘুম ওড়াল বামফ্রন্ট – জানুন বিস্তারিত

রাজনীতির মঞ্চে দলবদল এর ঘটনা নতুন কিছু নয়। এতদিন ধরে অবশ্য দেখা যাচ্ছিল, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে যোগদান করছে। তবে একেবারে বিপরীত ছবি পাওয়া গেল আমডাঙায়। এদিন আমডাঙায় বেশকিছু তৃণমূল সদস্য যোগদান করলেন সিপিএমে। সম্প্রতি দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সারাদেশের বিরোধী দলগুলি। এদিনের দলবদল এর মূলে সিপিএমের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূলের দুর্নীতি এই দলবদল এর ঘটনার পেছনে দায়ী।

রাজ্যজুড়ে সামনেই পুরসভার নির্বাচন আর তার আগেই রীতিমতো দুঃসংবাদ তৃণমূলের জন্য। সম্প্রতি আমডাঙার বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েতের আটঘরা গ্রামের প্রায় একশটি পরিবার তৃণমূল থেকে বিদায় নিয়ে সিপিএম-এ প্রবেশ করল। সিপিএমের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তৃণমূলের অন্দরের দুর্নীতি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে ক্রমাগত দ্বিচারিতার ফলে এই যোগদান হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকার সিপিএম নেতা আহমেদ আলি খান এবং গার্গী চট্টোপাধ্যায় দলবদলকারীদের স্বাগত জানিয়েছেন।

সিপিএম এদিন দাবি জানিয়েছে, প্রায় একশটি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছে সিপিএমে। সূত্রের খবর, এর আগে আমডাঙার প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিএম নেতা আব্দুস সাত্তার যিনি বাম আমলে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, তিনি যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, যে বিভাজনের রাজনীতি চলছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে কংগ্রেসের বিকল্প আর কেউ নেই একই সুরে এদিন সিপিএমের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়, বিভাজনের রাজনীতি আটকাতে সিপিএম এর থেকে ভালো আর কেউ নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, 2019 সালে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমডাঙ্গায় অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই না করে এলাকার সিপিএম এবং কংগ্রেস দল সম্পূর্ণরূপে বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ আছে বলে জানান। উল্লেখ্য, 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই আমডাঙ্গাতেই সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল। যার ফলে সিপিএম এবং তৃণমূলের দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছিলেন।

লোকসভা ভোটের পর বেশকিছুদিন ধরেই প্রতিনিয়ত দলবদল এর ঘটনা দেখা যাচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে বিজেপি থেকে বেরিয়ে এসে তৃণমূলে যোগদান করছে বলে দাবি করা হয়। ঠিক একইভাবে এদিন তৃণমূল থেকেও বেরিয়ে গিয়ে সিপিএমএ যোগদান করা হয়েছে বলে দাবি সিপিএমের পক্ষ থেকে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরভোটের প্রাক্কালে এহেন দলবদল রাজ্যের শাসক দল থেকে মোটেই কোনো ভালো ইঙ্গিত বহন করছে না। রাজ্যের শাসক দলের উচিত, এই সমস্যার সমাধান করার। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যে পরিমাণ তৃণমূল সদস্য যোগদান করেছে বলে দাবি করছে সিপিএম, তা যদি সত্যি হয় তাহলে এই মুহূর্তে তৃণমূল বেশ কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আপাতত পুরো বিষয়টি নজরে রেখেছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!