এবার তৃণমূল নেতার ওপর বিজেপির হামলা, রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে পাল্টা সরব তৃণমূল তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 9, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে যখন বিজেপি ক্রমাগত তৃণমূলকে বিঁধছে রাজনৈতিক হিংসার কারণে, এমনকি 356 ধারা জারির দাবি তুলছে তাঁরা, ঠিক সে সময় রাজনৈতিক হিংসার শিকার হলেন পুরুলিয়ার তৃণমূল শহর সভাপতি। জানা গিয়েছে, এলাকার বিজেপি বিধায়কের ভাই এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে বিজেপি সভাপতিকে রীতিমত মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এবার পাল্টা রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ করল তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে। লোকসভা নির্বাচনের পর জঙ্গলমহল কার্যত বিজেপির চারণভূমি হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। গত পঞ্চায়েত ভোটে পুরুলিয়ার অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। এরপর লোকসভা নির্বাচনে খুব সহজেই জয় আসে। একুশের ভোটে নটি বিধানসভার মধ্যে ছটিতেই বিজেপি জিতে যায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যে যখন তৃণমূল সরকার, ঠিক তখন পুরুলিয়ায় বিজেপির অধিকাংশ বিধায়ক নিয়ে গর্বিত স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে নব নির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে। গেরুয়া শিবিরে এমনিতেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলে ভাঙন লাগার। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলরের ওপর হামলার ঘটনা গেরুয়া শিবিরকে চাপে ফেলল বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই ঘটনাটি পুরুলিয়ার স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। অবশ্য ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়কের ভাই সহ আরো দুই জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ উঠেছে, মঙ্গলবার রাতে পুরুলিয়া শহর তৃণমূল সভাপতি বিভাস রঞ্জন দাসের ওপর হামলা চালান পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের ভাই প্রদীপ মুখোপাধ্যায় দলবলসহ। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এই ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে জখম হন আরেক চিত্রসাংবাদিক। প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় 2016 সালে কংগ্রেসের বিধায়ক হলেও পরবর্তীতে তিনি শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, পুলিশের হাতে বিজেপি বিধায়কের ভাই প্রদীপ মুখোপাধ্যায় এবং 13 নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মী হিরণ্ময় কর্মকারসহ আরো একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা অস্বীকার করলেও যথেষ্ট চাপের মুখে এই মুহূর্তে বিজেপি। পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই পুরো ঘটনার পেছনে রয়েছেন বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। অনেকেই আবার এই ঘটনার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন। পুরুলিয়া জেলায় এই ঘটনা সামনে আসার সাথে সাথে খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। অন্যদিকে এই ঘটনার সূত্রে অপরাধীকে খুঁজে বার করো পুলিশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। রাজনৈতিক সমালোচকদের অবশ্য অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা নিয়ে যখন সরব বিজেপি ঠিক সে সময় তাঁদের দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনা গেরুয়া শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলছে। আপনার মতামত জানান -