এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার তৃণমূল নেত্রীকে চুপ করানোর জন্য বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ বিজেপি হেভিওয়েটদের, বিতর্ক তুঙ্গে

এবার তৃণমূল নেত্রীকে চুপ করানোর জন্য বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ বিজেপি হেভিওয়েটদের, বিতর্ক তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের নির্বাচনে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই। একদিকে যেমন তৃণমূলের নেতারা লড়াইয়ে নেমেছেন, তেমনি বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য নেতৃত্ত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বের তরফ থেকেও বাংলায় দফায় দফায় এসে প্রচার চালাচ্ছেন নেতারা। তবে তৃণমূলকে আটকানোর জন্য এবার সরাসরি বিজেপি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মুখ বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করল। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আজ বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হোক। সেক্ষেত্রে বিজেপির তরফ থেকে যুক্তি- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দেওয়ার সময় অত্যন্ত কদর্য ভাষা ব্যবহার করছেন, যা মোটেই শোভনীয় নয়।

এমনকি নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। আজকে অর্জুন সিং এবং শিশির বাজোরিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই দাবি জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রথম দফা ভোটের আগেই অফিসার বদলি নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনকে। পাশাপাশি গতকাল নন্দীগ্রামের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি নিশানায় রেখে বলেন, ভোটের পর তৃণমূল থাকবে। বিজেপি নেতাদের দাবি, এ ধরনের কথা বলে ভোটারদের চমকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে অমিত শাহ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জেপি নাড্ডা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কদর্য ভাষার আক্রমণ থেকে কেউই বাঁচতে পারেননি বলে মনে করা হচ্ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে, বিরোধী দলের নেতাদের মুখে নিজেদের বিরুদ্ধে হয়ে চলা ক্রমাগত আক্রমণ কোনভাবেই নিতে পারছেনা গেরুয়া শিবির আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তাঁরা আক্রমণের নিশানায় রেখে তাঁর ভাষণ ব্যান করার দাবি জানিয়েছেন অর্জুন সিংরা। শিশির অধিকারীর তরফ থেকেও আগে বলা হয়েছিল, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী পদ বাতিল করার জন্য নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাবেন। যদিও সে ব্যাপারে শিশির অধিকারী পরবর্তীতে আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে জানা গিয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল নেত্রীর ভাষণ বন্ধ করে দেওয়ার আবেদন জানানো এই মুহূর্তে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বলা শুরু হয়েছে, তৃণমূলের জয় হবে বুঝতে পেরে সোজাসুজি তৃণমূল নেত্রীকে থামানোর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিজেপি। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন যদি এবার বিজেপি শিবিরের কথা মেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নীরব করে দেন, তাহলে কিন্তু আখেরে ক্ষতি তৃণমূলের। এখনো সাত দফা নির্বাচন বাকি আছে। আপাতত নির্বাচন কমিশন কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, সে দিকেই লক্ষ্য সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!