এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার তৃণমূল সাংসদকে একাধিকবার ফোন প্রবীণ সাংসদের যিনি তৃণমূলে হলেও এখন বিজেপির, তীব্র চাঞ্চল্য

এবার তৃণমূল সাংসদকে একাধিকবার ফোন প্রবীণ সাংসদের যিনি তৃণমূলে হলেও এখন বিজেপির, তীব্র চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য এবং কেন্দ্রে তৃণমূলের এই মুহূর্তে সব থেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হলো বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদল করে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন অধিকারী পরিবারের ছেলে তথা তৃণমূল মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। কার্যত অধিকারী পরিবারের প্রত্যেকেই সাথ দিয়েছিলেন শুভেন্দু্র। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী এবং তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এখনো পর্যন্ত কাঁথি এবং তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। কার্যত তৃণমূলের সাংসদ হিসেবে সুনীল মন্ডল এবং শিশির অধিকারী বিজেপির হয়ে প্রচার চালালেও এখনো পর্যন্ত সাংসদ হিসাবে খাতায়-কলমে তৃণমূল।

তাই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এবার জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাঁদের সাংসদ পদ বাতিল করার। তারই মধ্যে একুশে জুলাই দুপুরে তৃণমূলের অন্যতম হেভিওয়েট সাংসদের কাছে কমপক্ষে 8 বার ফোন এল বিজেপি সাংসদের পক্ষ থেকে। যদিও শোনা যাচ্ছে, যার কাছে ফোন এসেছিল তিনি ফোন ধরেননি। সূত্রের খবর, হোয়াটসঅ্যাপে লাগাতার ভিডিও কল করে গিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। আর তার সাক্ষী কিন্তু তৃণমূলের প্রায় গোটা সংসদীয় টিম। কার্যত একুশে জুলাই যখন দিল্লিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে তৃণমূলের শহীদ দিবস পালন চলছে এবং সেখানে উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূল সহ বিভিন্ন বিরোধীদলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা, ঠিক সেসময় এই ফোন এসেছিল বলে জানা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কে করেছিলেন এই ফোন? জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। ইতিমধ্যে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের জন্য পিটিশন জমা পড়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিজেপিতে যোগদান না করলেও এই প্রবীণ সাংসদ কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের জনসভায় নরেন্দ্র মোদীর পাশে থেকে বিজেপির প্রচার চালিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কি সুরাহা হতে পারে, তা জানার জন্যই বারবার প্রবীণ সাংসদ ফোন করছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যাকে ফোন করেছিলেন সেই সাংসদ কোনরকম ফোন ধরেননি। শুধু শিশির অধিকারী নয়, বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মন্ডলের সাংসদ পদ খারিজ করার জন্য তৃণমূল আবেদন করেছে যদিও সেই আবেদনের দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেছে।

অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ঠিক একইভাবে বিজেপি বিধায়ক পদ বাতিলের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আর সেই সূত্রেই মনে করা হচ্ছে রাজ্য এবং কেন্দ্রে দু’জায়গাতেই তৃণমূল এবং বিজেপির জোরদার লড়াই চলছে। অন্যদিকে রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম গণনা মামলা চলছে। যদি কোনভাবে সেখানে দেখা যায়, পরাজিত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, তাহলে কার্যত অধিকারী পরিবার কোণঠাসা হয়ে পড়বে। তাই আগেভাগেই কি প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারী দলের মন বোঝার চেষ্টা চালিয়ে গেলেন? প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!