এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন রাজ্য তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট নেতা, কি তাঁদের লক্ষ্য?

এবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন রাজ্য তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট নেতা, কি তাঁদের লক্ষ্য?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে তৃণমূলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক। কার্যত সেসময় তৃণমূলের অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থা আইপ্যাক কাজ করে গেছে রাজ্যের শাসক দলের হয়ে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেয়েছে তৃণমূল, আর তারপর থেকেই অন্যান্য রাজ্যেও তাঁরা সংগঠন বানানোর চেষ্টায়। এই অবস্থায় তৃণমূল নজর দিয়েছে ত্রিপুরার দিকে। আর তৃণমূলের হয়ে ত্রিপুরায় জল মাপতে গিয়েছে আইপ্যাকের 23 জন কর্মী। কিন্তু প্রথমেই তাঁদের বিপ্লব দেব সরকারের বড়সড় বাধার মুখে পড়তে হলো বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই বাধা কাটাতে এবার ত্রিপুরামুখী বাংলার তিন তৃণমূল নেতা।

কার্যত ত্রিপুরায় চলছে বিজেপি শাসন। সেখানে তৃণমূলের সংগঠন বাড়ানোর কাজ করা যে বড় চ্যালেঞ্জ, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে নজরবন্দী আইপ্যাক কর্মীদের উদ্ধার করতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ত্রিপুরা যেতে চলেছেন রাজ্যের তিন হেভিওয়েট নেতা ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় , জানা গিয়েছে  তাঁরা আগরতলা পৌঁছাবেন। এবং 23 জন কর্মীকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কার্যত আইপ্যাক কর্মীদের করোনার অজুহাতে হোটেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তৃণমূল ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের এই কর্মপদ্ধতি দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পাল্টা তাঁরা দাবি করছে, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ফল দেখে বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই ত্রিপুরায় তাঁদের আটকানোর চেষ্টা চলছে। কার্যত আগরতলা পুলিশ কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের দাবি, বাইরে থেকে আসার কারণেই 23 জনের করোনা পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। যদিও আইপ্যাক থেকে জানানো হয়েছে, করোনা টেস্ট হয়ে যাওয়ার পরেও কর্মীদের হোটেল থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছেনা।

এই টানাপোড়েনের মধ্যেই এবার তৃণমূল নেতারা ত্রিপুরায় যেতে চলেছেন, ফলে বাড়ছে চাঞ্চল্য। অন্যদিকে ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এর আগেও 21 শে জুলাই শহীদ দিবস পালন করতে গিয়ে বিপ্লব দেব সরকারের বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। সব মিলিয়ে ত্রিপুরায় ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তৃণমূল ও বিজেপি চাপানউতোর। কার্যত 2023 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই চাপানউতোর আরো বড় আকার ধারণ করবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!