প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শোভন চট্টোপাধ্যায়, রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এই ত্রিকোণ সম্পর্ক বর্তমানে আবার সংবাদ শিরোনামে। সম্প্রতি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে তাঁর অ্যাকাউন্টের নাম এবং ছবি বদলে দিয়েছিলেন। দুই ক্ষেত্রেই তিনি নিজের নাম এবং ছবির সঙ্গে জুড়ে নিয়েছেন শোভনকে। আর তারপরেই এই ত্রয়ীর অশান্তি নতুন পর্যায়ে শুরু হয়। গত বুধবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গোলপার্কের যে ফ্ল্যাটে থাকেন সেখান থেকে উচ্ছেদের নোটিশ হাতে পেয়েছেন এবং এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে মহেশতলার তৃণমূল বিধায়ক দুলাল দাসের পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে এই নোটিশ পাওয়ার পরেই শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় একযোগে বলতে শুরু করেছেন, তাঁরা এই ফ্ল্যাটে ভাড়া নিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে তাঁরা নিয়মিত ভাড়া পাঠাতে চাইলেও ভাড়া নেওয়া হয়নি। আক্ষরিক অর্থে এই ফ্ল্যাটটি যে রত্নার বাবার সম্পত্তি সেকথা বৈশাখী মেনে নিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বর্তমান শ্বশুরমশাই অর্থাৎ বিধায়ক দুলাল দাস জানিয়েছেন, তিনি তাঁর জামাই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে একা ওই ফ্ল্যাটে থাকতে দিয়েছিলেন। কোন বান্ধবীকে সাথে নিয়ে থাকার কথা ছিলনা। যেহেতু তিনি জামাইকে থাকতে দিয়েছেন, তাই তাঁর কাছ থেকে ভাড়া নেওয়ার কোন প্রশ্নই ছিলনা।

পাশাপাশি তিনি জানান, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ভাই শুভাশীষ দাশ ওই ফ্ল্যাটটিতে শোভনের থাকার জন্য একটি অ্যাকসেপ্টান্স লেটার দিয়েছিলেন। সেই চিঠি তাঁরা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। পাশাপাশি অবিলম্বে এই ফ্ল্যাট খালি করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুলাল দাস। এদিন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাবা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এখনো যদি শোভন ঐ ফ্ল্যাটে থাকতে চান, তাহলে থাকতে পারেন অবশ্যই। কিন্তু সেক্ষেত্রে শর্ত একটাই, তাঁকে একা থাকতে হবে। কোন বান্ধবীকে নিয়ে থাকা চলবেনা। এক্ষেত্রে ইঙ্গিত যে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে করা হচ্ছে, সে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে শোভনের সাথে ঐ একই ফ্ল্যাটে থাকেন।

প্রসঙ্গত, গোলপার্কের এই বহুতলে 2017 সালের 5 ই নভেম্বর বেহালা পর্ণশ্রীর নিজের বাড়ি থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায় চলে এসেছিলেন। আর তারপরের দিনই তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের হুমকি দিচ্ছেন এই বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈশাখী দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনারের। সম্পর্কের জটিলতা এই মুহূর্তে আইনের দরবারে। আপাতত দেখার, শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁর শ্বশুর মশাইয়ের দাবি মেনে নেন নাকি পাল্টা লড়াই চালান আইনের সাহায্যে। পাশাপাশি আইন কোন পক্ষের হাতিয়ার হয়ে ওঠে সেটাও দেখার।