এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার ভোটের প্রচারেও দেখা যাবে প্রশান্ত কিশোরকে , জোর জল্পনা

এবার ভোটের প্রচারেও দেখা যাবে প্রশান্ত কিশোরকে , জোর জল্পনা

আগামী 25 শে নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন হতে চলেছে। নির্বাচন কমিশনের কথা অনুযায়ী আগামী 25 নভেম্বর খড়গপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন। খড়্গপুরের সাথে করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জেও উপনির্বাচন হতে চলেছে। তবে খড়গপুর উপনির্বাচনকে ঘিরে এখন সাজো সাজো রব।

খড়গপুর মূলত বিজেপির দুর্গ বলেই পরিচিত। পূর্বে খড়গপুর কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল। সেখানে জ্ঞান সিং সোহনপাল মারা যাওয়ার পরে খড়গপুর বিজেপির দখলে আসে। তবে এবার খড়গপুরকে বিজেপি মুক্ত করতে তৃণমূল কংগ্রেস উঠে পড়ে লেগেছে। আর সেই ইস্যুতেই একটি জল্পনা সম্প্রতি শোনা গেছে। এবার ভোটের প্রচারে নাকি দেখা যাবে প্রশান্ত কিশোরকে। তবে এ কথার সত্যতা যাচাই করে নি প্রিয় বন্ধু মিডিয়া।

25 শে নভেম্বর এর খড়গপুরের উপনির্বাচন জিততে তৃণমূল কংগ্রেস মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের তরফ থেকে খড়গপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন প্রদীপ সরকার। তিনি খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান। প্রশান্ত কিশোরের ফর্মুলা মেনে খড়্গপুরে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।

দলীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পিকের সংস্থা থেকে লোকজন এসে খড়্গপুরের নির্বাচনী পরিস্থিতি চাক্ষুষ করে গেছে। এখন খড়গপুর শহরে পিকের টিমের লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে খবর। তবে নির্বাচনের মুখেই খড়গপুর শহরে পা দিতে চলেছেন খোদ প্রশান্ত কিশোর বা পিকে।পিকে আসার প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, ‘আমি কিছু জানিনা।’ তবে পিকের সংস্থার একজন সদস্য জানিয়েছেন, ‘পিকে খড়গপুর শহরে আসবেন বলে শুনেছি। কিন্তু কবে আসবেন তা জানি না।’ তবে পিকের আসা নিয়ে যে খড়্গপুরের রাজনৈতিক পরিবেশ বেশ সরগরম হয়ে রয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, খড়গপুর বিধানসভার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পিকের সংস্থার লোকজন সমীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। এবং পিকের কাছে তার রিপোর্টে পৌঁছে গেছে। এলাকায় থেকে পিকের সংস্থার কর্মীরা বোঝার চেষ্টা করছেন এবারের উপনির্বাচনের হাওয়া কোন দিকে। মনে করা হচ্ছে, পিকে এলে তিনি সবার আড়ালে কিছু কিছু এলাকায় যেতে পারেন এবং প্রদীপ সরকার এর সাথেও তিনি আলাদা করে বৈঠক করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

2019 এর লোকসভা ভোটে তৃণমূল রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়ে। আর তারপরেই তৃণমূল ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোর এর শরণাপন্ন হয়। প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল কংগ্রেসের হাল ধরার পর থেকেই কিছুটা হলেও পরিবর্তন চোখে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে এতদিন পর্যন্ত কলকাতাতেই সীমাবদ্ধ ছিল প্রশান্ত কিশোরের আনাগোনা।

খড়গপুর বিধানসভা নির্বাচনে আগেই বিজেপির দিলীপ ঘোষ জিতেছিলেন। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনেও দিলীপ ঘোষ এই কেন্দ্রে 45 হাজার ভোটে এগিয়ে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। ফলে এই স্থানটি খালি হয়ে যায় এবং উপ নির্বাচনের পরিস্থিতি উপস্থিত হয়। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস মরিয়া হয়ে খড়গপুর আসনটি নিজেদের করে নিতে চাইছে। আর তা করতে পিকের ফর্মুলা মেনে তাঁরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

আপাতত বলা যায় খড়্গপুরের উপনির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে একটা প্রেস্টিজ ফাইট হতে চলেছে। উল্লেখ্য, খড়গপুর বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। তাই খড়গপুরকে বিজেপির হাত থেকে সরিয়ে নিলেই তৃণমূলের যে বেশ কিছুটা শক্তি বাড়বে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন এযাবৎকালের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। তৃণমুল কংগ্রেস যদি খড়গপুর উপনির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ফল করে তাহলে রাজ্যে 2021 এর বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে বিজেপির থেকে যে তাঁরা বেশ কয়েক কদম এগিয়ে যাবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর সেই লক্ষ্যে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসুত পরিকল্পনা যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আপাতত সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!