প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভুয়া ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে তৃণমূলকে রীতিমতো কোণঠাসা করতে শুরু করেছে রাজ্যের অন্যতম বিরোধী দল বিজেপি। সম্প্রতি কসবা এলাকায় ভুয়ো ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প ধরা পড়ে বিশিষ্ট তৃণমূল সাংসদের সহায়তায়। আর তারপরেই সামনে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। এই ঘটনায় মূল পান্ডা দেবাঞ্জন দেব ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। কিন্তু এই দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে একের পর এক তৃণমূল নেতার ছবি প্রকাশ পাচ্ছে। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে চিঠি লিখেছে বলে জানা যাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, চিঠিতে তিনি দাবি জানিয়েছেন সিবিআই তদন্তের।

দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে শাসক নেতাদের ছবির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। আর এই নিয়েই বেড়েছে তৃণমূল বনাম বিজেপির তরজা। প্রসঙ্গত জানা যায়, দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে ছবিতে যেমন উঠে এসেছেন ফিরহাদ হাকিম, সেরকমই দেখা যাচ্ছে দেবাশীষ কুমার, শান্তনু সেনদের। আর তাই নিয়েই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের যোগ থাকার সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছেনা বিজেপি। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও পাল্টা কটাক্ষ করা হয়েছে ছবি প্রসঙ্গে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, নীরব মোদির সঙ্গে যখন নরেন্দ্র মোদিকে পাওয়া যায় কোনো ছবিতে, তখন তার মানে কি নরেন্দ্র মোদিও নীরব মোদির মতন জালিয়াতিতে যুক্ত?

দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের বাকযুদ্ধ চলে আসছে। বর্ষার সময় একদিকে যখন ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছিলেন, প্রাক্তন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কারণেই কলকাতার মানুষের দুর্দশা বেড়েছে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা ফিরহাদ হাকিমকে দুয়ারে গঙ্গা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। এবারেও ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে শুভেন্দু এবং ফিরহাদের তরজা বজায় রইল। ফিরহাদ হাকিমের সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষও জানিয়েছেন, ব্যাংক জালিয়াতি করে যারা বিদেশে পালিয়েছে, তাঁদের অনেকের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত কুণাল ঘোষ যে নিরব মোদী, বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসির দিকে ইঙ্গিত করেছেন সেকথা স্পষ্ট।

পাশাপাশি তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদিকে তো এদের সাথে ছবি থাকার দরুণ টাকা পাচার করেছেন তা বলা যায়না। স্বাভাবিকভাবেই ভ্যাকসিন কান্ড যে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় তুলেছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর চিঠির প্রত্যুত্তরে কেন্দ্রীয় সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তা নিয়ে যথেষ্ট গুঞ্জন চলছে। তবে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন কাণ্ডে জড়িতদের জন্য কড়া শাস্তির নির্দেশ দিয়েছে। তাই সিবিআই এবার এই তদন্তে নামলে নতুন কোন তথ্য সামনে আসে কিনা, সেটাও দেখার।