এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য কতজন? তার সংখ্যা জানতে চাইল নবান্ন, সেইসাথে চাওয়া হলো ব্যাখ্যা

এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য কতজন? তার সংখ্যা জানতে চাইল নবান্ন, সেইসাথে চাওয়া হলো ব্যাখ্যা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে কত জন অকৃতকার্য হয়েছে? তার সংখ্যা জানতে চাওয়া হলো নবান্নের পক্ষ থেকে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাছে এর তথ্য জানতে চেয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। গত বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফল প্রকাশের পর যেসব ছাত্রছাত্রী কৃতকার্য হতে পারেনি, তারা নানা স্থানে গতকাল ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অভিভাবকেরাও তাদের সঙ্গে
যোগ দেন। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

প্রসঙ্গত, এবারে মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সমস্ত পরীক্ষার্থীকে পাস করিয়ে দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও এই ঘটনা ঘটেছে। তবে, উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে তা ঘটেনি। উচ্চমাধ্যমিকে ৯৮ শতাংশকে পাস করানো হয়েছে। অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে গতকাল। যাদের সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে যোগ দিয়েছে তাদের অভিভাবকেরাও। গতকাল বেশ কিছু স্থানে বিক্ষোভের ঘটনার খবর পেয়ে এ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে নবান্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক চলে শিক্ষা দপ্তরের গতকাল রাতেই। এরপর শিক্ষা সংসদের কাছে জবাব চেয়েছে শিক্ষা দপ্তর। কতজন পরীক্ষার্থীকে অকৃতকার্য করানো হয়েছে? তার সংখ্যা যেমন জানতে চাওয়া হয়েছে। তেমনি এ বিষয়ে সংসদের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে অসঙ্গতি রয়েছে। রেজাল্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে স্কুলের মূল্যায়নের সঙ্গে সংসদের ফলাফল মেলেনি। এ কারণে দেখা দিয়েছে বিক্ষোভ।

শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, এক্ষেত্রে মূল্যায়ন আবার খতিয়ে দেখতে হবে। যদি সংশোধনের কোন সুযোগ থাকে, তবে দ্রুত সংশোধন করতে হবে। এ প্রসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের জনৈক আধিকারিক জানালেন যে, আজকের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সংসদকে। দ্রুত যাতে বিক্ষোভ বন্ধ হয়, এমনটাই সরকার চায়। পরীক্ষার্থীর প্রতি অবিচার করা হলে, তারা যেন দ্রুত সুবিচার পায়, সে কথা বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হওয়া ছাত্রীর বারবার ধর্মপরিচয় ঘোষণা করে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানালেন যে, উচ্চ মাধ্যমিকে যে প্রথম হয়েছে, সেই ছাত্রীর ধর্ম নিয়ে বলা পাপ ও অন্যায়। ধর্ম দিয়ে ভালো ফল করেনি, তার মেধার জোরেই সে ভালো ফল করেছে। মেধার দ্বারা সমস্ত পথ অতিক্রম করা যায়, ধর্ম দিয়ে নয়। এ বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি যা বলেছেন, তা ভারতের সংবিধানকে অবমাননা করেছে। এই ঘটনাকে তিনি একদম সমর্থন করছেন না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!