এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবারের ভোটে বড় ভূমিকা নিচ্ছে চীনারাও! বাংলার রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ছে তাঁরাও

এবারের ভোটে বড় ভূমিকা নিচ্ছে চীনারাও! বাংলার রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ছে তাঁরাও


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ওয়ারেন হেস্টিংস এর জমানায় মধ্য কলকাতার টেরিটি বাজার থেকে বসবাসকারী চীনাদের সরে যেতে হয় কলকাতার শহরের বাইরের দিকে। স্থাপন হল শহর কলকাতার দ্বিতীয় চীনা পাড়া। কালে কালে তা হয়ে ওঠে ক্রমে আজকের ট্যাংরা বা তপসিয়া। ট্যাংরা বা তপসিয়া নামে চায়নাটাউন হলেও এখানকার বাসিন্দারা কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ওতপ্রোতভাবে আজকে মনেপ্রাণে বাঙালি হয়ে গিয়েছে। সেখানে যেরকম মেনে চলা হয় চৈনিক নববর্ষ, ঠিক সেভাবেই মানা হয় বাংলা নববর্ষ। বাঙালি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁরা মেতে ওঠেন। কলকাতার বাইপাসের অদূরে জনপ্রিয় হয়েছে তাঁদের বসতি স্বনামধন্য চিনা খাবারের দৌলতে। এবার বাংলার নির্বাচনেও তাঁদের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। 

আমবাঙালী ভিড় জমায় এই চীনা পাড়ায় জিভের তাড়নায়। বাংলার সবকিছুকে যখন তারা নিজের করে নিয়েছেন তখন এই ভোটটুকুই বা বাকি থাকে কেন? শহরে এই মুহূর্তে ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। আর তাই চিনা বসতিও মেতে উঠেছে ভোটের তালে। শুরু হয়েছে তাঁদের এলাকাতেও দেওয়াল লিখন। তবে সেই দেওয়াল লিখন বোঝার ক্ষমতা গড়পড়তা সাধারণ মানুষের নেই বললেই চলে। কারণ সেখানে চলছে চীনা ভাষার দেওয়াল লিখন। চীনা পাড়ার বাসিন্দাদের নিজেদের মাতৃভাষাতেই ফুটে উঠেছে রাজনৈতিক সচেতনতা। একই ভাষাতে ভোট দেওয়ার আবেদনও করছেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আমাদের ‘ভোট দিন’ চীনা ভাষায় দাঁড়িয়েছে ‘তও নি দে পেও’। এবার ভোটের কালে রাস্তায় নামলেন কলকাতার চীনা অধিবাসীরা। বৃহস্পতিবারেই চায়না টাউনের দেওয়াল লিখনে ভোট প্রচার শুরু হল। সেখানকার বাসিন্দাদের সাথে দেখা গেল কসবার তৃণমূল প্রার্থী জাবেদ আহমেদ খানকে। রাজ্যের ভোট নিয়ে চায়না টাউনের বাসিন্দা জানালেন, তারা যে রাজনীতি সচেতন সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। ভোটের সময় তাঁদের দেওয়াল লিখন এই নির্বাচনের অন্যতম অঙ্গ। চীনে যদিও বরাবরই বামপন্থী রাজনীতি স্থান পেয়েছে, তবে এখানে তৃণমূলের হয়ে রং তুলি হাতে তুলে নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাগ্রস্ত হননি চায়না টাউনের বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে প্রায় আড়াই হাজার চীনা নাগরিকের বসবাস কলকাতায়। এবং তাঁদের মধ্যে যে এই শহরের প্রতি ভালোবাসা ওতপ্রোতভাবে রয়ে গেছে, তা বোঝা গেল তাঁদেরই কথায়। এই চায়না টাউনেরই আর এক বাসিন্দা জানালেন, তাঁরা সবাই ভোট দেন। এই শহরকে ভালোবেসেই তাঁরা সবাইকে ভোট দেবার আহবান করেন। সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কমিউনিটির অনেকেই। সেক্ষেত্রে বলা যায়, একুশের নির্বাচনে কলকাতার বুকের এক চিলতে চায়না টাউন বড় ভূমিকা নেবে। আর সেকথা বুঝতে বাকি নেই রাজনৈতিক দলগুলিরও। বলাইবাহুল্য সে কারণেই কলকাতার চীনা পাড়ায় এখন ভিড় বাড়ছে রাজনৈতিক দলগুলির।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!