এবারের ভোটে গেরুয়া শিবিরকে ময়দানে শক্তি জোগাতে লড়াইতে নামছেন চাণক্য নিজে নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 18, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে গেরুয়া শিবির প্রার্থী সমস্যা নিয়ে নাজেহাল বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পেয়েছে তাই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র দলীয় অন্তর্কলহ। পরিস্থিতি সামাল দিতে দফায় দফায় কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্ব বৈঠকে বসেছেন বটে, কিন্তু তাতেও রফাসূত্র মেলেনি বলেই জানা যাচ্ছে। এখনো বিজেপির বেশকিছু আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা বাকি। তাই অশান্তির আগুন যাতে আরও উস্কে না ওঠে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার বিজেপির হেভিওয়েটরা লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছেন। এবং তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মুকুল রায়। সূত্রের খবর, প্রথমদিকে মুকুল রায় লড়াইয়ের ময়দানে নামতে অনিচ্ছুক ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অমিত শাহের নির্দেশে তিনি রাজি হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে কোথা থেকে তিনি লড়াই করবেন, তা নিয়ে এখনও জল্পনা চলছে। মুকুল রায় এ জীবনে মাত্র একবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন এবং সেই নির্বাচনে তিনি হেরেও গিয়েছিলেন। তারপর থেকে প্রায় দুই যুগ রাজ্যের মানুষ মুকুল রায়কে বরাবর পর্দার আড়ালে দেখেছেন। 2011 পরিবর্তনের বছর হোক বা 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে 2 থেকে 18 তে নিয়ে যাওয়া সর্বক্ষেত্রেই মুকুল রায় পর্দার আড়ালে থেকে চাণক্যের কাজ করে গেছেন। তবে পরপর দুবার মুকুল রায় তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। সেই মুকুল রায় এবার এত বছর পর বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর থেকে প্রার্থী হতে পারেন বলে জল্পনা চলছে। কৃষ্ণনগরের দুটি আসন আছে- একটি কৃষ্ণনগর উত্তর এবং অন্যটি কৃষ্ণনগর দক্ষিণ। প্রথম দিকে শোনা যাচ্ছিল কৃষ্ণনগর দক্ষিণ থেকে মুকুল রায় প্রার্থী হতে পারেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী মুকুল রায়কে তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে দাঁড় করানোর কথা চলছে। একটা সময় দুটি আসনেই বামেদের প্রভাব থাকা সত্বেও 2011 থেকে কৃষ্ণনগর উত্তর এবং দক্ষিণ দুটি আসনই তৃণমূলের হাতে আসে। 2011 এবং 2016 বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবনী মোহন জোয়ারদার এবং উজ্জ্বল বিশ্বাস এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু কৃষ্ণনগরের সংসদীয় কেন্দ্র থেকে মহুয়া মিত্র জয়ী হলেও কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে বিজেপি প্রায় তিপান্ন হাজার ভোটে এগিয়ে যায়। কৃষ্ণনগর দক্ষিণেও বিজেপি ছয় হাজার ভোটে এগিয়ে যায়। তুলনামূলকভাবে কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপিকে যথেষ্ট শক্তিশালী ধরে নেওয়া হয়। পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে, মুকুল রায় নিজের হাতের তালুর মতো চেনেন নদীয়া জেলাকে। 2013 পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কৃষ্ণনগরে নদীয়া জেলায় তৃণমূলের অবস্থা মোটেই ভাল ছিলনা। কিন্তু রেজাল্ট বেরোনোর পর দেখা যায়, তৃণমূল জেলা পরিষদে জয় পেয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই জয়ের পেছনে মুকুল রায়ের যে যথেষ্ট পরিকল্পনা ছিল তা পরিষ্কার। এখনো বিজেপিতে মুকুল রায় থাকলেও তৃণমূল শিবিরের অনেক নেতার সঙ্গেই তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে শোনা যায়। ফলে কৃষ্ণনগর থেকে যদি মকুল রায়কে প্রার্থী করা হয় তাহলে মনে করা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে পুরো জেলায় দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হবে মুকুল রায়ের কাঁধে। তবে যতক্ষণ না প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হচ্ছে ততক্ষণ কিছু বলা যাচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে কৃষ্ণনগর থেকে মুকুল রায়কে যদি দাঁড় করানো হয়, তাহলে দলের নিচু তলার কর্মীদের অনেক বেশি উৎসাহিত করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার, মুকুল রায় যিনি মোটেই ভোটে দাঁড়াতে চাননা, সেই মুকুল রায় এবারের ভোটে জয় ছিনিয়ে আনতে পারেন নাকি দিনের শেষে দেখা যাবে মুকুল রায়ের সিদ্ধান্তই ঠিক! আপনার মতামত জানান -