এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এবছর তো বটেই করোনার দাপট অব্যাহত থাকবে আগামী বছরেও? এইমস-এর ডিরেক্টরের দাবি ঘিরে জল্পনা!

এবছর তো বটেই করোনার দাপট অব্যাহত থাকবে আগামী বছরেও? এইমস-এর ডিরেক্টরের দাবি ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে বিশ্ববাসীর একত্রিতভাবে হয়ত একটাই দাবি, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার। এই প্রজন্ম কি আগের প্রজন্ম হয়তো এমন একটা মহামারীর কথা কোনদিন দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি। স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ, কাজে যাওয়া, বাড়ি ফেরা এবং খোলা আকাশের নিচে স্বাধীনভাবে বাঁচার যে ছবি মানুষের কাছে ছিল অত্যন্ত পরিচিত, বিগত ছয় মাস ধরে তা মানুষের কাছে একেবারে পাল্টে গেছে। জীবনটা যেন মাস্ক-স্যানিটাইজার-সাবান এসবের মধ্যেই আটকে গেছে। যেখানে মানুষ স্বাধীন হয়েও পরাধীন, কিছু না করেও গৃহবন্দী। তবে এতকিছুর নেপথ্যে যে করোনাভাইরাস, তাকে প্রতিরোধ করার জন্য সব রকমই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ। কোথাও শোনা যাচ্ছে নভেম্বরের মধ্যেই বাজারে আসতে চলেছে করোনা ভাইরাসের টিকা, আবার কখনো শোনা যাচ্ছে করনা ভাইরাসের টিকা আসতে সামনের বছর পার হয়ে যাবে। তবে কি বলছে নতুন তথ্য?

এইমসের ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়ার মতে আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করে আছে সাধারণ মানুষের জন্য। তাঁর কথায় আরও যতদিন যাবে ততো বাড়বে এই করোনা সংক্রমনের রেকর্ড। এমনিতেই যত দিন যাচ্ছে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ নতুন রেকর্ড তৈরি করছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ চিন্তায় রয়েছে সরকার প্রশাসন। তবে এই কথা যদি ঠিক হয় তাহলে আরো খারাপ পরিস্থিতি অপেক্ষা করে আছে আমাদের সকলের জন্য। তাই সেই হিসেব অনুযায়ী সামনের বছর ও মহামারীর কবলে থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে আশার আলো হচ্ছে, যে হারে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে মৃত্যুসংখ্যা সে তুলনায় অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তাই হয়তো সেক্ষেত্রে কিছুটা সুখবর থাকলেও থাকতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর কথায় এতটা সংক্রমনের কারণস্বরূপ বলা যেতে পারে, বর্তমানে এই যে লকডাউন আস্তে আস্তে তুলে দেওয়া হচ্ছে এতে জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিকের পথে গেছে। বহু ক্ষেত্রে মানুষজন কাজে যেতে শুরু করেছেন এবং সমস্ত ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে এই যে করোনা সতর্কতা এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যদিও যত দিন যাচ্ছে তত বেশি ভাইরাসটির মিউটেশনের ফলে তার কার্যকারিতা হ্রাস পাচ্ছে, তবুও ভাইরাসটি যেহেতু রয়ে যাচ্ছে তাই মানুষকে আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। তাঁর ধারনা, এতদিন ধরে করোনা বিধি পালন করেও মানুষ হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং সহজেই মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। সে ক্ষেত্রে সবার আগে মানুষের সচেতনতা ফিরিয়ে আনা দরকার, কারণ প্রাণ থাকলে তবেই সব কিছু।

তিনি আরো বলেন যে এতদিন বাড়ি বসে থাকার পর স্বভাবতই কাজের তাগিদে মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসছেন এবং শহর থেকে গ্রামে যাচ্ছেন। এর ফলে ছোট শহর বা প্রত্যন্ত গ্রামেও মানুষের মধ্যে সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে এত সংখ্যক মানুষের মধ্যে যদি সচেতনতা তৈরি করে না দেওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষের আক্রান্ত হবার অনুমান করা যায়। সে ক্ষেত্রে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, কিছুক্ষণ অন্তর হাত ধোয়া, মানুষের সংস্পর্শ বা বাইরে জিনিসের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা এমন বহু সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সরকারের প্রয়োজন নিয়মিতভাবেই করোনা সচেতনতা মানুষের মধ্যে তৈরি করে দেবার প্রয়োজন। কারণ করনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন যদি কিছুদিনের মধ্যে আবিষ্কার নাও হয়, বা আবিষ্কার হলেও যদি সেটা জনসাধারণের কাছে এখুনি এসে না পৌঁছায়, তাহলে মানুষকে করনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য এই সতর্কতাগুলি মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর তাই শুধু সরকার নয় সাধারণ মানুষকেও সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!