এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > বাংলায় ধৃত আলকায়দা জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ ছিল পুলওয়ামা বিস্ফোরণের? জেরায় উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য!

বাংলায় ধৃত আলকায়দা জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ ছিল পুলওয়ামা বিস্ফোরণের? জেরায় উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সন্ত্রাসবাদীদের কাছে জেহাদ শব্দটি অতি পরিচিত। আর এই শব্দটির মাধ্যমে সারা বিশ্বের বুকে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বেশকিছু জঙ্গি গোষ্ঠী। ভারতের বুকে সম্প্রতি খোঁজ পাওয়া গেল আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর। তারপর থেকেই জঙ্গিদের জেরা করে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জঙ্গিদের জেরা করার পর নিশ্চিত হয়েছেন ভারতের সন্ত্রাসবাদি পরিকল্পনার পেছনে পাকিস্তানের মাথা কাজ করছে। অন্যদিকে জঙ্গিদের জেরা করে জানা যাচ্ছে, পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর যে হামলা কিছুদিন আগেই সন্ত্রাসবাদীরা চালিয়েছিল, তার খবর আগেই ছিল মুর্শিদাবাদের জঙ্গী বাহিনীর কাছে।

এবং পুলওয়ামার আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দারের সঙ্গে কথা হয় মুর্শিদাবাদের জঙ্গী মুর্শিদ হাসান এবং নাজমুস সাকিবের। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা ধৃত জঙ্গিদের স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ খতিয়ে দেখে বেশকিছু সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপের হদিশ পেয়েছেন- যেখানে আলোচনা দেখে রীতিমত স্তম্ভিত হয়ে গেছেন গোয়েন্দারা। এবং এই সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, ধৃত জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জইশ-ই-মোহাম্মদ জঙ্গী আদিল আহমেদ দারের।

পুলওয়ামায় নিরাপত্তারক্ষীদের হামলার খবর যেমন আগেই ছিল ধৃত জঙ্গিদের কাছে, ঠিক সেরকমই এখন দেখা যাচ্ছে জঙ্গী হামলার পর পাকিস্তানে স্তুতিবাক্যে ভরে রয়েছে জঙ্গিদের ফোন এবং ল্যাপটপ। জানা যাচ্ছে, ইসলামিক স্টেট, আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস), জইশ-ই-মহম্মদ সহ ভারতবিরোধী কুখ্যাত সব জঙ্গী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে একের পর এক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। যাদের লক্ষ্য, একমাত্র ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানো।  অন্যদিকে এবার মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে খাগড়াগড়ের মতন জায়গাগুলি আলোচনায় উঠে এসেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নিরাপত্তা সংস্থার নজর এবার সীমান্তের মাদ্রাসাগুলির উপর। অভিযোগ আগেই ছিল, ওই প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালিত হয়। উল্লেখ্য, শনিবার সকালে কেরলের এনার্কুলাম এবং পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার 11 টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবং এই তল্লাশিতে গোয়েন্দাদের হাতে আসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছয়জন এবং এনার্কুলাম থেকে তিনজন আল-কায়দা জঙ্গি। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, ভারতের বুকে একের পর এক জায়গায় ‘লোন উলফ’ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল জঙ্গীরা।

কিন্তু তাদের পরিকল্পনা অচিরেই ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গীদের গ্রেপ্তার করে তাঁদের কাছে উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরীর উপাদান, দেশীয় পিস্তল, ধারালো অস্ত্র, ডিজিটাল ডিভাইস, জিহাদী কাগজপত্রসহ অনেক জিনিস। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, যেটুকু কার্যকলাপ বাইরে এসেছে তা থেকে স্পষ্ট একদিনে এই নেটওয়ার্ক তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা ভারতে বসে ভারতের ক্ষতি করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আগেভাগে ধরা পড়ায় ভারতের ওপর থেকে একটি ফাঁড়া কাটলো। কিন্তু গোয়েন্দাদের চোখের আড়ালে যে আরও কোন জঙ্গি লুকিয়ে নেই, সে কথা কে বলতে পারে! তবে ভারতের বুক থেকে আল-কায়দা জঙ্গি ধরা পড়ায় খুব স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!