এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলকে উৎখাত করতে পঞ্চপাণ্ডব বাংলায় আসার পরে কি খবর বঙ্গ বিজেপির অন্দরের , জেনে নিন বিস্তারিত !

তৃণমূলকে উৎখাত করতে পঞ্চপাণ্ডব বাংলায় আসার পরে কি খবর বঙ্গ বিজেপির অন্দরের , জেনে নিন বিস্তারিত !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মধ্যেই উঠে এলো বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা। এতদিন যেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ছিল, সেখানে বিজেপির এই খবরে স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক সুনীল দেওধর বুধবার উলুবেড়িয়ার একটি রিসর্টে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া, হুগলির নেতাদের নিয়ে রাজ্য সাংগঠনিক বৈঠক করেন বলে জানা গেছে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এদিন দেওধর বাবু ওই চার জেলার নেতাদের প্রত্যেকের বক্তব্য শোনেন এবং লিখে নেন। আর সেখানেই তাঁদের কিছু ক্ষোভের কথাও দেওধরবাবু জেনেছেন বলেই জানা গেছে। সেই সঙ্গে উঠে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাও। জানা গেছে, এদিন বৈঠকে ছিলেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও।

তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করেননি বলেই জানা যায়। তাঁর কথায়, ”প্রয়োজন হলে নেতৃত্বের রদবদল হতে পারে। তবে সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।” বস্তুত, অমিত শাহ রাজ্যে সাংগঠনিক বৈঠকে এ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বিজেপি ২০০-র বেশি আসনে জিতবে বলেই দাবি করেছিলেন। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আটটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিতে বিজেপি জিতেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যাদের মধ্যে ছিল, দুর্গাপুরে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূম জেলা। এদিন উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বির বিজেপি সাংসদ সোনকার ও দলের রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূম জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে জানা গেছে। সেখানে ওই জেলাগুলি থেকে মোট ৫৭টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫০টিতে জিততে হবে বলেও বলা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ভোটে সাফল্য পেতে এরপর দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগত্‍প্রকাশ নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও প্রতি মাসেই রাজ্যে আসবেন। তবে তাঁদের সফরসূচি এখনও জানা যায়নি। তবে ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রায় সব সাংগঠনিক জেলায় এবং ফেব্রুয়ারির গোড়াতে প্রায় সব বিধানসভা কেন্দ্রে এক জন করে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।

সেইসঙ্গে সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সমীক্ষাও করা হচ্ছে। দলের বাছাই করা সদস্যদের একাধিক টিম এবং কিছু পেশাদার সংস্থা এই সমীক্ষা করছে বলেও জানা গেছে। আর সেই রিপোর্ট বিশ্লেষণ করেই বিজেপি বিধানসভা ভোটের রণকৌশল সাজাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিধানসভা ভোটের প্রার্থী যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই ঠিক করবে, মঙ্গলবার কলকাতায় সাংগঠনিক বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় তা সে স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

সেইসঙ্গে তৃণমূল থেকে কেউ বিজেপিতে আসতে চাইলেও তাঁকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বৈঠকে জানিয়েছেন, ”শুধু শুভেন্দু অধিকারী নন, তৃণমূলের অনেক বিধায়ক, নেতাই দলের বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। অনেকে বলছেন, ওখানে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, অক্সিজেন পাচ্ছেন না। আমরা তো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বসেই আছি। কষ্ট হলে আসুন। সবাইকে দেব।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!